• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রাতে সন্তানদের দেখতে শ্বশুরবাড়ি, সকালে সবজির ক্ষেতে লাশ

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১

সন্তানদের দেখতে রোববার দিবাগত রাতে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে যান ফরজান খাঁন (৬০)। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্বশুরবাড়ির পাশের সবজির ক্ষেতে তার লাশ পাওয়া যায়।মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের পতনঊষারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহত ফরজান খাঁন কুলাউড়া থানার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বিজলি গ্রামের মৃত রশিদ খানের ছেলে।

পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে পতনঊষারের টিলাগড় গ্রামের ছমসুন বেগমের সঙ্গে ফরজান খাঁনের বিয়ে হয়। স্বামী ফরজান খাঁন বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এ নিয়ে সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়। এর জেরে বিয়ের ৫ বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। তখন থেকে ছমসুন বেগম তাদের সংসারের তিন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি পতনঊষারে টিলাগড় গ্রামে চলে যান। এদিকে বিচ্ছেদের পর ফরজান দ্বিতীয় বিয়ে করেন কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ছনগাঁও গ্রামে। সন্তানদের দেখতে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে যেতেন ফরজান। রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তিনি (ফরজান খাঁন) সন্তানদের দেখতে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে যান। এরপর সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির পাশের সবজির ক্ষেতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় ফরজান শ্বশুরবাড়ি আসার পর তাকে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির পেছনের সবজিক্ষেতে তার মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় নিহতের গায়ে সাদা গেঞ্জি ও আকাশি রঙের ফুল শার্ট ও লুঙ্গি পরা ছিল। নিহতের শরীরের কোথাও আঘাতের আলামত পাওয়া না গেলেও মাথায় এবং গেঞ্জিতে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সকালে সবজি ক্ষেতে বৃদ্ধের লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশে ধান কাটার কাঁচি (কাস্তে), কাপড়ের বেগ, মোবাইল ফোন, নগদ ২০ টাকা ও বিড়ি পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •