• ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটে বেপরোয়া চোরাকারবারি , গোডাউন থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য উদ্ধার

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত এপ্রিল ৯, ২০২১
সিলেটে বেপরোয়া চোরাকারবারি , গোডাউন থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য উদ্ধার

সিলেটে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে চোরাকারবারিরা। সরকারি কোষাগারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে অবৈধ পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবার জন্য সিলেটে গোডাউনও তৈরী করেছে। এসব গোডাউনের মালিকরা চোরাকারবারিদের গডফাদার সেজে তাদের নিয়ন্ত্রনও করছে। এদিকে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মতা মনিরুল ইসলাম নিয়োগের পর তার নির্দেশে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ পণ্য আটক করে প্রসংশা কুড়াচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুরমার সিলামের চকর বাজার এলাকার নিয়াজের গোডাউন থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। উদ্বার হওয়া এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন রংয়ের শাড়ী, থ্রি পিছ, সিরিঞ্জ, চা-পাতা, ইমামী তৈল, সানস্ক্রিং ক্রিম, মেহেদী, ইচগার্ড ঔষধ সামগ্রী ও চকলেট । এসব পণ্যের অনুমানিক মূল্য হবে প্রায় অর্ধকোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মতা মনিরুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় থানার এসআই স্নেহাশীষ পৈত্য, এসআই কাজী রিপন সরকার, এসআই নিবলু দাশ, এএসআই আপন মিয়া, এএসআই বিশ্বজিৎ দাশ, এএসআই মো: দেলোয়ার হোসেনসহ সঙ্গিয় ফোর্সরা দক্ষিণ সুরমা থানাধীন সিলামের চকের বাজারস্থ নিয়াজের গোডাউনে শ্বাসরোদ্ধকর এই অভিযান পরিচালনা করেন।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন। অন্যদিকে একটি চোরাকারবারি চক্র এসব পন্য ছাড়িয়ে আনতে প্রসাশনের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার সাথে লবিংও করছেন। এমনকি মামলায় নাম না দেয়ার জন্যও করছেন দরকশাকশি! যাচ্ছেন থানায়ও। ছাড়িয়ে নিচ্ছেন অবৈধ পণ্য। এসব বিষয় নিয়ে পর্যায়ক্রমে ছবিসহ আরো প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

সূত্র জানায়, সরকারের কর ফাঁকি চোরাকারবারিরা এসব অবৈধ পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবার জন্য এই গোডাউনে রেখে ছিলো তারা। গোডাউনে রক্ষিক অবৈধ পণ্যের মালিক হলেন- ওসমানীনগরের রাহেল, পলাশ, সুর্বত, হোসেন ও আলোচিত চোরাকারবারি আলী হোসেন ওরফে পলিথিন আলী।

অন্য এক সূত্র জানায়- রাহেল, পলাশ, সুর্বত, হোসেন ও আলোচিত চোরাকারবারি আলী হোসেন ওরফে পলিথিন আলী এসব মাল ছাড়িয়ে আনতে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত থানার গেইটে অবস্থান করেন। থানার সিসি ফুটেজে তাদের আসা যাওয়ার চিত্র সংরক্ষিত রয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, এসকল চোরাকারবারিদের নাম বাদ দিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ বাদী হয়ে শুধু গোডাউনের চৌকিদার জাহাঙ্গিরের নামে মামলা দায়ের করবেন।

অবৈধ পণ্য আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মতা মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে। তবে তদন্তের স্বার্থে অনেক বিষয় বলছেন না এই কর্মকর্তা।

এদিকে, বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বলদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিড়িসহ চোরাকারবারি জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় দুটি প্রাইভেট কার থেকে ১ লাখ ১ হাজার শলাকা ভারতীয় নাসির বিড়ি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত জুয়েল বিশ্বনাথের কারিজুরি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারি জুয়েলকে গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) আশরাফ উল্যাহ তাহের।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •