• ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটে ৫ দিনে নারীসহ আটক ১৮ :অধরা সুন্দর আলী!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত মার্চ ১, ২০২৪
সিলেটে ৫ দিনে নারীসহ আটক ১৮ :অধরা সুন্দর আলী!

সিলেট নগরের আবাসিক হোটেলগুলো থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে পুলিশ,নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত ৫ দিনের অভিযানে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে ১৮ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু এখনও ধরাছোয়ার বাহিরে সিলেটের পতিতা দালালদের মূলহোতা উত্তর সুরমার মেঘনা আবাসিক হোটেলের মালিক সুন্দর আলী।

নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা সুরমা মার্কেটের সামন দিয়ে ভিআইপিসহ সকল শ্রেণী পেশার কর্মকর্তা যাতায়াত করেন। সেই সুরমা মার্কেটে গড়ে উঠেছে সুন্দর আলীর মেঘনা নামক বিশাল পতিতালয়।

মাঝে-মধ্যে মহানগর গোয়েন্ধা পুলিশের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালালে শত শত লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে মজা নেন।

এমনকি মেয়েরা বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার উপর দিয়ে দৌড়া-দৌড়ি করেন তখন মানুষজন স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। অভিযানে দুই একজন আটক হলেও সাথে সাথে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন।

কিন্ত মূলহোতা সুন্দর আলী রয়ে যায় ধরাছোয়ার বাহিরে। যার ফলে শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় তার অসমাজিকতার ব্যবসা। তাকে আটক ননা করা পর্যন্ত এই অসামাজিকতা বন্ধ করা সম্ভব না।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ সুরমার কদমতলি এলাকার কয়েস আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তরুণ-তরুণীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন-মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার মো.সাহাব উদ্দিন সাজু (৩১),সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার মো.নয়ন মিয়া (২৮),একই উপজেলার ঝুমা বেগম (২৭) ও গোপালগঞ্জ জেলার পপি গুপ্ত (৩০)।

এরআগে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)ওসমানী হাসপাতাল এলাকার হোটেল বাধন আবাসিক থেকে তরুণ-তরুণীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মো.সোহেল মিয়া (৩৫),জকিগঞ্জ উপজেলার ফারজানা আক্তার (১৯),সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার মো.উজ্জল আহমদ (২০) ও খুলনা জেলার রুপসা থানার ঝর্না বেগম (২০)।
এরআগে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তিতাস অবাসিক হোটেল থেকে ১০ তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- ইমরান শেখ (১৮), শামসুল মিয়া (২৬), ময়না আহমদ (২৫), আসাদ শেখ (২৪), মো. কুটি মিয়া (৪২), সজিব দাস (২৬), রুবেল মিয়া (২২), শারমিন (২৫), পারভিন আক্তার লিজা (২৬), শ্যামলি খাতুন (২৬)।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে নগরীর সবগুলো আবাসিক হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

যাতে কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত না থাকেন। এরপরও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না করায় আমরা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এসব হোটেলের মালিকদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •