• ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটে প্রকাশ্যে তারা, অথচ পুলিশ পাচ্ছেনা!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত মার্চ ৩০, ২০২৪
সিলেটে প্রকাশ্যে তারা, অথচ পুলিশ পাচ্ছেনা!

বিশেষ প্রতিবেদক:: সিলেটে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরেবেড়ালেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ।

উল্টো তারা বাদীকে হুমকি ধমকি দিয়েই যাচ্ছে।তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন,আসামিদের পাওয়া যায়নি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, নগরীর ছড়ারপার এলাকার সুগন্ধা-৫- এর অধিবাসী আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে হাবিব মিয়ার সাথে ২০১৬ সালে বিয়ে হয় একই একই এলাকার আবুল মিয়ার মেয়ে লাকি বেগমের (২৮)।

তারা দুটি পূত্র সন্তান জন্ম দেন। এতদিন মোটামুটি ভালো চললেও অতিসম্প্রতি হাবিব মিয়া লাকি বেগমকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করেন। ব্যবসার জন্য লাকির কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। তবে নিজের পরিবার ও সন্তানদের কথা চিন্তা করে লাকি তার মা’র কাছে থেকে কয়েক দাগে প্রায় লাখ টাকা হাবিবের হাতে তুলে দিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। হাবিব তাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন।

প্রায়ই মারধোর করতেন। তারই এক পর্যায়ে গত ২০ জানুয়ারি হাবিব ও তার চাচাত ভাই ফারুক আহমদ (৪২) লাকীকে মারধোর করেন।

খবর পেয়ে লাকির মা,মেয়ের বাসায় উপস্থিত হয়ে ২ লাখ টাকা দেয়ার ক্ষমতা তার নেই জানালে লাকিকে তারা এক কাপড়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। তখন তারা লাকির গলার স্বর্নের চেন ও কানের দোল খুলে রেখে দেয় যার মূল্য প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। তাদের মারধোরে মারাত্মক আহত লাকিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বিষয়টি আপোষে মিমাংসার চেষ্টা করা হলে তাও ব্যর্থ হয় এবং গত ৮ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় তিনি নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন (নং ১৯)। এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে একটি জিডিও (নং ১১২০) দায়ের করেছিলেন।

এদিকে লাকি বেগম এ প্রতিবেদকের সালে আলাপকালে অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশের নাকের ডগায় আসামিরা ঘুরেবেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। উল্টো বিভিন্ন সময়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই ফখরুল ইসলামের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠভাবে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই ফখরুল। বলেছেন, আসামিদের খুঁজছি। তাদের গ্রেফতারে জোরালো অভিযান চলছে।

আর দুই অভিযুক্ত হাবিব মিয়া ও ফারুক আহমদ লাকির সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, দেড় বছর আগে লাকী তার টাকা-পয়সা নিয়ে নিজের মা’র কাছে স্বেচ্ছায় চলে গেছে। এখন সে তার কোনো হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে।হাবিব বলেন, পুলিশের ভয়ে আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •