• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আজকের সাংবাদিকতাকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখেন..

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুন ২, ২০২১
আজকের সাংবাদিকতাকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখেন..

শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান::সাংবাদিকতাএকটি মহৎ পেশা তবে অন্যান্য পেশার চেয়ে এই পেশায় অনেকের মতে ঝুঁকি বেশি।এরপরও মজার ব্যাপারটা হচ্ছে এই পেশায় যারা থাকেন তাদের মজাটা যেন আলাদা। শত হাজার পেশার ভিড়ে এই পেশাটি একটু ব্যতিক্রম।

আমাদের দেশে এখন শত শত পত্রিকা রয়েছে সাথে বাংলাদেশ টেলিভিশন বেতার ছাড়া ও বেসরকারী চ্যাটেলাইট চ্যানেল সহ অসংখ্য অন-লাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে যার প্রকৃত সংখ্যা অন্তত আমার জানা নেই।আজকের সাংবাদিকতা পেশাকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখেন এর মুল কারন অপ-সাংবাদিকতা বা হলুদ সাংবাদিকতা।

হলুদ সাংবাদিকরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন রোমাঞ্চকর সংবাদ পরিবেশন বা উপস্থাপনা করা হল তাদের কাজ। এ ধরনের সাংবাতিকতায় ভালমত গবেষণা বা খোঁজ-খবর না করেই দৃষ্টিগ্রাহী ও নজরকাড়া শিরোনাম দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে থাকে।এবং তাদের কারনে আজ মূল ধারার সাংবাদিকদের কিছু মানুষ বাঁকা চোখে দেখছে।

এখনও বেশির ভাগ মানুষ সংবাদিকতা পেশাকে আজও অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখে। এ পেশার লোকজনকে অনেকেই জাতির বিবেক বলে থাকেন। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতার সাবলীল মূল্যায়ন হয়ে থাকে যা হওয়া স্বাভাবিক।।শুধু দেশ,জাতি নয়,বিশ্ব উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও সাংবাদিকদের অগ্রণী ভূমিকা দেশে দেশে আজ স্বীকৃত।

সাধারণ জনগণের এ মহান পেশার প্রতি প্রগাঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কারণ এ সমাজের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরবারির ন্যায় কলমের শানিত অস্ত্র একমাত্র সাংবাদিকরাই ধরে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের ঘটনা প্রবাহের সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি প্রকাশিত পত্রিকা বা বর্তমান সময়ে অন-লাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে দেশের বর্তমান অবস্থা ও সাধারন জনগনের করণীয় কি সেই বিষয়ে ও সাংবাদিকরা তাদের মতামত ওদিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

সাংবাদিকরা মানবতার অতন্দ্র প্রহরী হিসাবেও কাজ করেন। সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির শেষ ভরসা স্হল।

সেই ক্ষেত্রে কোন সাংবাদিক যদি মুর্খ বা অর্ধশিক্ষিত হয় বা জ্ঞান চর্চা না করে দিনে দিনে সাংবাদিক নেতা বনে যান বা বিভিন্ন অপকর্ম বা অপ-সাংবাদিকতা জড়িত হন তখন সেই জাতি হয় বড়ই দূর্ভাগা।এই ক্ষেত্রে সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক যে নেই তা কিন্তু নয়।

আজ কোন না কোন সাংবাদিক ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক বিবেচনায়, অহংকার কিংবা প্রলোভনের কারণে সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং কর্তব্যবোধ বিসর্জন দিচ্ছে যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। সাংবাদিকতারএ মহান পেশা ক্রমান্বয়ে আজ কলুষিত হয়ে আসছে,অশিক্ষিত,মুর্খ কোন না কোন পত্রিকার রিপোর্টার বা যেনতেন ভাবে কোন সাংবাদিক সংগঠনের মাধ্যমে সাংবাদিক কার্ড ব্যবহার করে তার অপ-ব্যবহার করছে।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সাংবাদিকের স্বাধীনতার নামে এক ধরনের অপ-সাংবাদিকতার প্রয়োগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অর্থলোভী,স্বার্থান্বেষীদের বিচরণ দেখা যাচ্ছে আজ সংবাদপত্রের মত মননশীল কর্মচর্চায়।

কাজেই প্রত্যেক সাংবাদিকদের যে কোন সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরো অনেক বেশি যত্নশীল হতে হবে বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দুরে থাকতে হবে,প্রকৃত জ্ঞান চর্চা করতে হবে।
অল্প শিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত লোক যাতে এই পেশা না জড়ান তার জন্য একটি নীতি মালা সহ দিক নির্দেশনা না থাকলে এই পেশা সব সময় বিতর্কিত হতে থাকবে। জাতির বিবেক এই পেশার ঐতিহ্য ও গুনগত মান ধরে রাখার জন্য আরো বাস্তবমুখী নীতি মালা সহ সাংবাদিকদের অপ-সাংবাদিকতা থেকে দুরে থেকে গন মানুষের আস্হা অর্জন করতে হবে।সেইটি হবে জাতির বিবেকের একমাত্র কাজ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •