• ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রাতারগুলে ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনের রামরাজত্ব!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
রাতারগুলে ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনের রামরাজত্ব!

নিজস্ব প্রতিবেদক ::সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল।

গত ৭-৮ বছরে পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।রাতারগুলকে গণমাধ্যম ও সিলেটের কিছু তরুণ প্রাকৃতিক অপরূপ বৈচিত্র্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত করেছে।কিন্তু রাতারগুল আসতে আগ্রহ হারাচ্ছে পর্যটকরা।

জলারবন রাতারগুল প্রতিবছরই নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি হিসেবে রাতারগুল ভ্রমণপিপাসুদের কাছে গুরুত্ব পেয়ে উঠছে।এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।সোমবার(২০ সেপ্টেম্বর)সরেজমিন দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকরা স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনের চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছে।রাতারগুল মাঝের ঘাঠের চৌগ্রাম ঈদগা বাজার নামক স্থানে ফখর উদ্দিন বাহিনীর লোকজন রাস্তা ঘেরাও করে রাখেন।

পর্যটকদের রাতারগুলে প্রবেশ করতে দেননি।শপ্নের সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুলে এসে এই চক্রের হয়রানির শিকার রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল তরুণ।রাতারগুলের স্বচ্ছ পানিতে ভেসে বেড়ানোর স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাদের। নৌকা ঘাটে যাওয়ার আগে চৌগ্রাম ঈদগা বাজার নামক স্থানে তাদের সব আনন্দ যেন হারিয়ে গেল।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন মেম্বারের হয়ে রাস্তা ঘেরাও করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্ধা আব্দুল মালিক নজমুল আলী আরব আলী মন্সাদ আলী আব্দুল্লাহ মিয়া রশিদ আহমদ আয়ূউব আলী শরীফ উদ্দিন বাবুল উদ্দিন আরমান সালমান আনা মিয়া আরব আলী আলিল আহমদসহ একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট।

নৌকা ঘাটে যাওয়ার আগে চৌগ্রাম ঈদগা বাজার নামক স্থান থেকে পর্যটক ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।যার ফলে প্রায় দেড় শতাধিক নৌকা বন্ধ রয়েছে। এই নৌকা গুলো বন্ধ থাকায় প্রায় দুই শত পরিবারের সদস্য না খেয়ে আছে।

সিলেট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মোঃ লুৎফর রহমান ও স্থানীয় গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেবকে বিষয়টি অবগত করা হলে সাথে সাথে থানার এসআই বিলাল ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি ঢের পেয়ে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান।

পরে ঘটনাস্থল থেকে লাঠি-সোটা উদ্ধার করেন এসআই বিলাল। কিন্তু পুলিশ ঘটনা স্থল ত্যাগ করার পর ফের রাস্তা ঘেরাও করে রাখেন চাঁদাবাজরা।

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন বলেন,আমার লোকজনকে নৌকার মাঝিরা কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা না দিয়ে তারা একাই বাণিজ্য করে চলেছে। তাই এরা বাধ্য হয়ে তারা রাস্তা ঘেরাও করে তাদের দাবি আদায় করছে।

তিনি আরও বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও বিষয়টি জানানে এবং তিনি সরেজমিন উপস্থিত ছিলেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যারা রাস্তা ঘেরাও করে রাখছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন