২০১২ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের(বিআরটিএ)সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছিলেন ফারহানুল ইসলাম।
যোগদানের ৮ বছরে ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে গত ৮ বছরে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে এসব সম্পদ গড়েন।
প্রাথমিক তদন্তের পর ফারহানুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বুধবার(১৫ সেপ্টেম্বর)দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়,ঢাকা-১ এ উপ পরিচালক রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি ঘুষ,দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করেন ফারহানুল ইসলাম। বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গচ্ছিত রাখার জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক,ইউসিবিএল ব্যাংক,সোনালী ব্যাংক এবং আইডিএলসিতে সঞ্চয়ী হিসাব,চলতি হিসাব ও ক্রেডিট কার্ড হিসাবসহ মোট দশটি হিসাব খুলে ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন করেন।
২০১২ সালের ৫ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তিনি ৬টি ব্যাংক হিসাব খোলেন। এসব ব্যাংক হিসাবের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখার একটি হিসাবে ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা,একই ব্যাংকের আরেকটি হিসাবে ১৪ লাখ টাকা,একটি ভিসা কার্ডের বিপরীতে ১৮ লাখ টাকা,একটি মাস্টার কার্ডের বিপরীতে ২৮ লাখ টাকা লেনদেন করেন। এছাড়া,আপন ছোট ভাই রায়হানুল ইসলামের নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের একই শাখায় নতুন একটি হিসাব খুলে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখায় আরেকটি হিসাব খুলে ১১ লাখ টাকা লেনদেন করেন।
এছাড়া মা লুৎফুন নাহারের নামেও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর-১০ নম্বর শাখায় একটি ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডে একটি হিসাব খোলেন ফারহানুল ইসলাম । খবর সিলেটটুডে এই দুটি ব্যাংক হিসাবে মা লুৎফুন নাহারের নামে তিনি ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা লেনদেন করেন।
তবে লুৎফুন নাহারকে মামলায় আসামি করা হয়নি।দুদকের এক কর্মকর্তা জানান,প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে রায়হানুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব অর্থের কোনও বৈধ উৎস তারা দেখাতে পারেননি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন