পদ্মা সেতুতে ‘ফেরি কাকলী’র ধাক্কার ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং হুইল সুকানী আব্দুর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত ফেরি কাকলী সঠিকভাবে পরিচালনায় ‘ব্যর্থ হওয়ায়’ ওই ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং হুইল সুকানী আব্দুর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি শুক্রবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় ফেরি কাকলি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া আসার পথে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন ফেরিচালক মো. বাদল হোসেন।
তিনি জানান, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরিটির র্যা ম্পের একটু ক্ষতি হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।ফেরিতে পানি ওঠা অবস্থায় দ্রুত শিমুলিয়ার ঘাটে নোঙর করতে পেরেছে বলে বিআইডব্লিউটিসির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে ২০ ও ২৩ জুলাই পদ্মা সেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে ফেরি।শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট এবং শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দিঘাট পরিদর্শন যান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে হালকা আঘাত লাগলেও আমরা এটাকে হালকাভাবে দেখছি না। আমরা এতে বিব্রত হচ্ছি। পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির আঘাত, অসাবধানতা, নির্দেশনা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় না। দায়িত্বে উদাসীনতার কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন