দেশে করোনায় চলছে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। মৃত্যু ও শনাক্তের হার ক্রমেই ভাঙছে রেকর্ড। সেটিও আবার ঊর্ধ্বগতি। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল। টানা ১৫ দিনের লকডাউনে কিছুটা কমে এলেও ঈদের অবাধ বিচরণের প্রভাব এখন পড়তে শুরু করেছে। লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হারও। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো দেশবাসী। এ দিন রেকর্ড সংখ্যক ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৯০২ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জনে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৫২২ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৯৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ১২ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৯ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭৮টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৮৭ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৫৬, রাজশাহীতে ১৯, খুলনায় ৩৫, বরিশালে ১৬, সিলেটে ২৩, রংপুরে ১৮ এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
নারী-পুরুষ হিসাবে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ এবং ১২৪ জন নারী। এদের মধ্যে ১৯ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৬৮৪ জন এবং নারী ৭ হাজার ২১৮ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩১, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৫, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৫, ১১ থেকে ২০ বছরের ১ ও ১০ জনের কম বয়সী ১ জন মারা গেছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন