সিলেটে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন এক নারী।
তার নাম সোনিয়া নাসরিন জলি। তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের ইলেক্ট্রি সাপ্লাই এলাকার কলবাখানি ২৫নং বাসার আমরোস আলীর মেয়ে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তিনি এ আবেদন করেন।
তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেন, সম্প্রতি আদালতে তিনি ৬ জনের নাম এবং অজ্ঞাতসহ ১০/১২ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি এয়ারপোর্ট থানায় জিআর ২৫১/২৪ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হলে তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জানান, এজাহারে মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জন আসামিকে জলি নিজেই চিনেন না।
এ অবস্থায় এজাহার প্রস্তুতকারী সিলেট জজ কোর্টের আইনজীবী আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। উল্টো বেশি বুঝলে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হুমকি দেন। তখন আজিজুর রহমানের সাথে ছিলেন দেবাশীষ চক্রবর্তী নামে এক ইসকন সদস্য।
জলি তার আবেদনে উল্লেখ করেন, এই দেবাশীষ শুধু ইসকন সদস্যই নন, তিনি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের একজন সুবিধাভোগী। তিনি হুন্ডি দেবাশীষ নামে কুখ্যাত। তার ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে জলির এজাহারে অপরিচিত ও নির্দোষ ৪ জন মানুষের নাম আসামির তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জলি গত ২৬ ডিসেম্বর এসএমপি কমিশনার বরাবর আরেকটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
কিন্তু পরদিন ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে দেবাশীষ আরও ৩ ব্যক্তিকে নিয়ে জলির বাসায় গিয়ে অশ্রাব্য গালাগাল করে এবং পুলিশ কমিশনারের কাছে দেয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাপ দেয়। অন্যতায় জলি ও তার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধনের হুমকি দেয়।
জলি তার আবেদনে উল্লেখ করেন, দেবাশীষের বাড়ি নগরীর কুমারপাড়া এলাকায়। মানি এক্সচ্যাঞ্জের সামান্য কর্মচারী হলেও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তার কোটি কোটি টাকার জমি আছে। এমনকি ভারতেও তার সম্পদের পাহাড় রয়েছে। এসবই অবৈধভাবে অর্জিত বলে বিভিন্ন সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন।
যখন তখন হুন্ডি দেবাশীষ ও তার লোকজন জলি বা তার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে শংকিত তারা।
এ ব্যাপারে অবিলম্বে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নিতে জলি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত দেবাশীষের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন