• ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট বিমানবন্দরে দালালদের দৌরাত্ম্য, অতিষ্ঠ যাত্রীরা!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
সিলেট বিমানবন্দরে দালালদের দৌরাত্ম্য, অতিষ্ঠ যাত্রীরা!

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিবহন ও ট্রলি দালালদের কারণে সাধারণ যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। বিশেষ করে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ এলাকায় বহিরাগত দালালদের আনাগোনা বেশি।এ চক্রটি যাত্রীদের লাগেজ ধরে টানাহেঁচড়া করে। এতে চরম ভোগন্তিতে পড়তে হয়।

এমন ঘটনায় গত ১৫/১০/২০২৩ ইং তারিখে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বরাবর এর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন এয়ারপোর্ট থানাধীন বড়শালা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র ভুক্তভোগী বশির আহমদ।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- এই দালাল চক্রের সদস্য- বড়শালা এলাকার নূরুল ইসলামের পুত্র সাইফুল ইসলাম লিটনের নেতৃত্বে একই এলাকার মৃত নওয়াব আলীর ছেলে হেলাল আহমদ, চৌকিদিকি এলাকার মখলিছ, মংলিপাড় এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র মশক্কর ও কাকুয়ারপাড় এলাকার খুরশেদ আলী ওরফে গনি মিস্ত্রীরির পুত্র উস্তার সহ তাহার একাধিক সঙ্গীয় শ্রমিক পরিচয়ে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে চাঁদাবাজি সহ যাত্রীর নিকট হইতে অতিরিক্ত ভাড়া আদাঁয় করিয়া আসিতেছে।

সরজমিনে দেখা গেছে- এই চক্রের সদস্যরা বিমানবন্দরের পাকিং এলাকায় যাত্রীদের লাগেজ সহ সাথে থাকা ব্যাগ আগাইয়া নিয়া গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন এবং এর বিনিময়ে বড় অংকের টাকা দাবি করিয়া যাত্রীদের হয়রানির সত্যতা পাওয়া গেছে।

এদিকে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত আর্মড পুলিশ, আনসারগণ এই দালাল চক্রের সদ্যসদের ধরতে গেলে তারা নিজেদের অহেতুক জেলার শ্রমিক সংগঠনের সদস্য বলে পরিচয় দেয়। তবে তা সর্ম্পূণ মিথ্যা বলে আমাদের তদন্তে উঠে আসে।

অন্যদিকে প্রায় সময় এই চক্রের সদস্যরা চাঁদাবাজির টাকার ভাগ-বন্টন নিয়া পাকিং এলাকায় একে অপরের সাথে মারামারি করেন।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ পাকিং এলাকার বর্তমান লিজ মালিক মের্সাস রিহাত এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার রুকনুজ জামান সাক্ষাতে জানান- বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ পাকিং এলাকা গত ১ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ হইতে ১ বছরের জন্য ১০ লাখ টাকা জামানত দিয়ে ৯০ কোটি টাকা দিয়ে লিজ নেন তিনি। লিজ পাওয়ার পর এসব অপর্কম বন্ধের জন্য তিনি বিমানবন্দরে- কর্তব্যরত আর্মড পুলিশ, সম্পত্তি শাখা, ডিজিএফআই ও বিমানবন্দরের পরিচালক বরাবর দফায় দফায় লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে এই চাঁদাবাজি বন্ধে উনারা ব্যর্থ হয়েছেন।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত আর্মড পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনের সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- বিমানবন্দরের বাহিরের পাকিং এলাকার বিষয়টি থানা পুলিশ দেখবে। তারপরও পুলিশ যদি আমাদের সহযোগীতা চায় তাহলে আমরা তাদের সহযোগীতা করতে প্রস্তুত।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ সম্পত্তি শাখার প্রধান হাবিবের সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা যায়নি।

এ ব্যাপারে ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা যায়নি।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমানের সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- এ ব্যাপারে বিমানবন্দর এভিয়েশনের নিরাপত্তা শাখার সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন