সিলেট নগরের জিন্দাবাজারস্থ আবাসিক হোটেল রাজমণী। হোটেল নামে মিনি পতিতালয় ও নারী ভিকটিমদের অন্ধকার বন্দীশালা।
হোটেলে চালানো হচ্ছে জমজমাট সুন্দরী নারী দিয়ে পতিতা ব্যবসা।দেশের নানা স্থান থেকে নিয়ে এসে এই হোটেলে উঠানো হয় বিভিন্ন বয়সের তরুণী ও কিশোরীদের।
হোটেল রাজমনির বিভিন্ন কক্ষে এদের দিয়ে রাতদিন চালানো হয় অবৈধ যৌনকর্ম। করা হয় পার্টটাইম ও পার্টনাইট দেহব্যবসা। ম্যানেজ করতে দৈনিক ও সাপ্তাহিক বখরা দেয়া হয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কতিপয় কর্তাব্যক্তি ও সাংবাদিক নামধারী মহল বিশেষকে। হোটেলের পরিচালক প্রভাবশালী হওয়ায় অভিযানের ক্ষেত্রে হোটেলটি থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ।বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রেমিক-প্রেমিকা,গার্লফেন্ড-বয়ফেন্ড এই হোটেলে চড়াদামে রেষ্টরুম ভাড়া করে অবৈধভাবে মিলিত হয়ে থাকে।
হোটেল রাজমণীতে রমণী ও তরুণীদের নিয়ে রাত কাটানোরও সুযোগ পায় বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির কামুকরা। এভাবেই দেহব্যবসায়ী তরুণী ও পতিতাদের দিয়ে এই হোটেলে অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে সিলেটের সামাজিক ঐতিহ্য বিনষ্টের পাশাপাশি যুবসমাজকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জিন্দাবাজার পয়েন্টের কাকলীচান কমপ্লেক্সে অবস্থিত হোটেল রাজমণী।
এমনকি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিয়ে ও চাকুরি প্রলোভনে ফুসলিয়ে বা অপহরণ করে নিয়ে আসা কিশোরী-তরুণী ও যুবতীদের হোটেল রাজমণীর বিভিন্ন কক্ষে আটকে রাখা হয় এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের দিয়ে চালানো হয় রমরমা দেহব্যবসা।এছাড়া রাতে বন্দী করে রাখা কিশোরী ও তরুণীদের ভাড়ায় হোটেলের বাইরে ধনাঢ্য কামুকদের বাসা ও বাংলো বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে আবার একই কায়দায় পরদিন তাদের ফিরিয়ে আনা হয় হোটেল রাজমণীতে।
অনেক সময় হোটেল রাজমণীতে প্রেমিক যুগল এবং বয়ফেন্ড-র্গালফ্রেন্ডদেরকে নাম-ঠিকানা এন্ট্রি ছাড়া রুম ভাড়া দেওয়া হয় এবং আদায় করা হয় দ্বিগুন-তিনগুন টাকা।ফলে সরকার বঞ্চিত হয় রাজস্ব প্রপ্তি থেকে।বেশ কিছুদিন পূর্বে আইওয়াশ অভিযানের মাধ্যমে হোটেল রাজমণী থেকে পতিতা ও খদ্দেরসহ আটক করে পুলিশ।
এর পর থেকে অজ্ঞাতকারণে আর কোন অভিযান হয়নি পুলিশের।ফলে হোটেলের পরিচালক বেপরোয়া হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নারীদেহের জমজমাট ব্যবসা।জিন্দাবাজারস্থ হোটেল রাজমণী যৌনহাট ও মাদক আড়তে পরিনত হয়ে গেছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা জানান-প্রশাসনের নাকের ডগায় হোটেল রাজমণীর অনৈতিক এ ব্যবসা সত্যিই উদ্বেগজনক।এতে করে তরুণ ও যুবরা বিপথগামী হচ্ছে। সবমিলিয়ে নগরের পশ্চিম জিন্দাবাজারস্থ আবাসিক হোটেল রাজমণীতে সুন্দরী নারী,পতিতা,মাদক ও জুয়ার আস্তানা জমজমাট হয়ে উঠেছে।
যোগাযোগ করা হলে হোটেল স্টাফ পরিচয়দানকারী মোঃ আশিক এর কাছ থেকে হোটেল ম্যানেজারের নাম মফিজ জানা গেছে। মোঃ আশিক ইকবাল এই হোটেলে অনৈতিক কাজ হয় বলে নিশ্চিত করে বলেন ম্যানেজার মফিজের সাথে দেখা করার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মাহমুদ এর অফিসিয়াল মুঠোফোনে কল দেয়া হলে নাম্বারটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন