নিজস্ব প্রতিবেদক :: অবৈধভাবে মাটি কাটার ট্রাক্টরের দখলে গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাও,তোয়াকুল,রস্তমপুর,আলীরগাঁও সারিঘাটের প্রদান প্রদান রাস্তাসহ সংযুক্ত সব রাস্তা।অবৈধভাবে মাটি কাটার ট্রাক্টরের কারণে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে কাঁচা ও পাকা রাস্তা।
এছাড়াও এ সকল ট্রাকের বেপরোয়া গতীতে চলাচলের কারনে রয়েছে ছোট,বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা।গ্রামীণ সড়কের চলাচলকারী এবং রাস্তার পাশে বসবাসকৃত জনসাধারণ অবৈধ ট্রাক্টরের জুলুমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।উপজেলার এলাকার মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ মাটি কাটার ট্রাক।
চাষাবাদের ফসলি জমি সহ গ্রামীণ জনপদে সর্বনাশ ঘটাতে শুরু করেছে। যা সড়কের বেহাল দশা করে আবার ধুলাবালুর সৃষ্টি করে।উপজেলা সদর থেকে সিলেট সদরে যাওয়ার এক মাত্র রাস্তাগুলার বর্তমান পরিস্থিতি একেবারে নাজুক।কোটি কোটি টাকার রাস্তাগুলা একটু বৃষ্টিতে যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বেপরোয়া চলাচলে শব্দ দুষণেও আশপাশের গ্রামের মানুষ,রাস্তার চলাচলকারী জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজ যাতায়াত কারী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করছে।
জানা যায়, উপজেলার সবকটি ইট ভাটার ইট ও মাটি, বালি পরিবহনের কাজেই মূলত ব্যবহৃত হচ্ছে এসকল ট্রাক্টর। ট্রাক্টর চলাচলের কারণে, এলাকার স্থানীয়রা বলেন, সরকারের কোটি কোটি টাকার রাস্তাঘাট ধ্বংস করছেন গুটিকয়েক মাটি ব্যবসায়ীরা।
তারা সল্পমূল্যে ফসলি জমি ও পুকুর খননের মাটি কিনে পরিবহনের ফলে বিলীন হচ্ছে রাস্তাঘাট এবং ট্রাক্টরের চাকায় প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে মহাসড়ক সহ গ্রামের সদ্য নির্মিত কাঁচা,আধাপাকা ও পাকা সড়কগুলো।
স্থানীয়দের অভিযোগ,এসব অবৈধ যন্ত্রদানবের প্রতি স্থানীয় প্রাশাসন উদাসিন। এলাকার প্রাভাবশালীদের খুঁটির জোরে এসকল ট্রাক চলছে বহাল তবিয়তে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনিক ব্যক্তি বলেন, আমরা আধার দিয়ে চলছি। সোস্যাল মিডিয়া গত দুই দিন থেকে ফেসবুকে প্রতিবাদ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনেকে পোষ্ট করছে।সকলেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচল রাস্তা-ঘাট ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।একটু বৃষ্টিতে রাস্তা যেন মরন ফাঁদে পরিনত হচ্ছে। কৃষি জমির উর্বর টপসয়েল কেটে সরবরাহ হচ্ছে পুকুর-দীঘিনালা ভরাটের কাজে।ট্রাক্টর’র অত্যাচারের মুখে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রোড পারমিট ও লাইসেন্স বিহীন চালকের কারণে দোকান পাট, রাস্তা-ঘাটের চলাচলকারী মানুষ সার্বক্ষনিক উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।
বিকট শব্দে মাটি বোঝাই নিয়ে সাদা পাউডারের মত ধুলো উড়িয়ে ধাবিয়ে চলছে এসকল দানব যানবাহন।
এবিষয়ে পথচারিদের সাথে কথা বল্লে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন,এসব গাড়ি চলাচলের সময় আশপাশ এলাকায় কুয়াশার মতো ট্রাকের সৃষ্ট ধুলোয় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আর ধুলোর মধ্যে দিয়ে যাতাযাত করায় সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগ আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশুসহ সব বয়সের মানুষেরা।আর একটু বৃষ্টিতে রাস্তা যেন মরন ফাঁদে পরিনত হচ্ছে।
আজ সন্ধ্যার পর বৃষ্টি হলে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের নয়াখেল গ্রামের সারিঘাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কালা মিয়া দরবস্ত সড়কে দুর্ঘটনা কবলিত হয় বর্তমানে জৈন্তাপুর উপজেলা কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে সালুটিকর গোয়াইনঘাট সড়কে যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগে ছিলেন সিএনজি চালক ও যাত্রীরা প্রায় ঘন্টাখানেক পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল।
সারি গোয়াইনঘাট সড়ক -সিলেট তামাবিল মহাসড়কে মটর সাইকেলে যাতায়াত কারি ব্যক্তিরা হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ার কারনে মানুষ কর্তৃক অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তায় মাটি বহন করায় রাস্তা প্রচুর পরিমান পিচ্ছিল হয়ে গেছে। যার কারনে অনেক কে দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে। তাই যান চলা চলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। অতি দ্রুত মানুষের জীবন অতিষ্ঠকারী এসব যন্ত্রদানব প্রতিরোধ করতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এসব জয়গার বসবারত এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এসব যন্ত্র দানব বন্ধের দাবি করে বলেন, আমরা বুঝতে পারি না, অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার ট্রাক চলাচল বন্ধের কাজটি কেন এতো কঠিন।
অবৈধভাবে মাটি ব্যবসা ও ট্রাক চলাচলে যাদের স্বার্থ রক্ষা হয়, তারা কি অকাল ও অস্বাভাবিক মৃত্যুরোধে সকল কিছুর উর্ধেব। এলাকাবাসীর একটাই দাবী যতদ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন। যেন বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত এর প্রতিকার পায় এলাকাবাসী। আর যেন প্রভাবশালীদের কাছে মাথা নত না করে ব্যবস্থা গ্রহন করেন এমানটাই আশা করছেন এলাকাবাসী।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন