সিলেট সিটি কর্পোরেশনের(সিসিক)মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে একনায়কতন্ত্রের’র অভিযোগে একে একে মুখ খুলছেন কাউন্সিলররা।
এর আগেও তারা বিভিন্ন সময়ে মেয়রের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
মেয়র আরিফ সবকিছুতেই নিজের মতামতকে প্রাধান্য দিচ্ছেন যার কারণে কাউন্সিলরদের মতামত উপেক্ষিতই থাকছে। এতে তারা বেজায় নাখোশ।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার মেয়রের উপর নাখোশ হয়েছেন টানা তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সাংবাদিক রেজওয়ান আহমদ।
তিনি বুধবার মেয়রের বরাবরে তার বক্তব্য জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন।
তবে এখনও চিঠির কোনো সদুত্তর পাননি তিনি।
সিসিকসূত্রে জানা গেছে,সিসিকের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। নগরীর বালুচরের একটি অভিজাত কনভেনশন সেন্টারে দুপুর ১২টায় বাজেট পেশ করবেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেটের গণমাধ্যমে প্রেরিত দাওয়াত পত্রে নিমন্ত্রণকারী হিসেবে নাম দেয়া হয়েছে সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন এবং কাউন্সিলর ও সিসিকের অর্থ-সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমদের।
এরমধ্যে রেজওয়ানের কোনো অনুমতিই নেয়া হয়নি বলে মঙ্গলবার রাতে একাত্তরের কথা’কে জানিয়েছিলেন তিনি।
শুধুমাত্র ২ ঘন্টা আগে দাওয়াতপত্রের খসড়া দেখাতে রেজওয়ানের বাসায় নিয়ে যান মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারি মুহিবুল ইসলাম ইমন।
এসময় রেজওয়ান ক্ষোভ জানান। ইমন সেখান থেকে ফিরে আসার পরপরই দাওয়াতপত্র বন্টন করে দেওয়া হয় বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে,প্রতিষ্ঠানে। এতে চরমভাবে ক্ষুব্দ হয়েছেন কাউন্সিলর রেজওয়ান।
তার ধারণা দাওয়াতপত্রটি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। শুধু মেয়র দায় এড়ানোর জন্যেই এটি দেখানোর জন্য পাঠিয়েছিলেন। যার কারণে তিনি ভীষণ অপমাণবোধ করছেন।
তিনি নিমন্ত্রণপত্র থেকে বিনা অনুমতিতে’তার নাম ব্যবহার করায় সেটি প্রত্যাহারের জন্য মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বরাবরে চিঠি দিয়েছেন।
বুধবার প্রেরিত চিঠিতে তিনি লিখেন,আমি নগরভবনের চলতি পরিষদে সদস্য।
অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতিও। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার নিমন্ত্রণপত্রে আমার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
পরিতাপের বিষয় যে,নিমন্ত্রণকার্ডে আমার নাম ব্যবহারের পূর্বে আপনি আমার সাথে কোনো ধরনের আলোচনা এমনকি ন্যুনতম সৌজন্যবোধও দেখাননি। এতে আমি অপমানবোধ করছি।
ওই চিঠিতে কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ নিমন্ত্রণপত্র থেকে তার নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
বুধবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ বলেন, পরামর্শ না করে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উচিৎ হয়নি নিমন্ত্রণপত্রে আমার নাম ব্যবহার করা।
আমি এ বিষয়ে বুধবার মেয়র বরাবরে চিঠি পাঠিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত আমার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়নি।
তবে বুধবার রাতে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে,মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদের রাগ ভাঙানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন