পরীমনির সঙ্গে এখনো তালক হয়নি বলে দাবি করেন তার প্রথম স্বামী কেশবপুরের ফেরদৌস কবীর সৌরভ। তবে পরে সৌরভকে ছেড়ে পরীমনি একাধিক হয়ে করেন। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন পরীমনির জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে এবং একদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হবেন- এটা সব সময় মনে করতেন তার ‘প্রথম স্বামী’। ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি বুধবার র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর এ কথা বলেন সৌরভ।
কেশবপুর পৌরসভার সাবেক নারী কাউন্সিলর শাহানা কবির ফাতেমার ছোট ছেলে ফেরদৌস কবীর সৌরভ জানান, ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
২০১৬ সালের দিকে ফেসবুকে তাদের কিছু ছবি ভাইরাল হয়। যেগুলোতে সৌরভের সঙ্গে পরীমনিকে ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখা যায়। এ সময় তাদের বিয়ের কাবিননামার ছবিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যদিও ওই বিয়ের কথা অস্বীকার করেছিলেন পরী।
জানা গেছে, সৌরভ তুখোড় ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। ওই বছর এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হলে ঢাকার একটি ক্লাবে ফুটবল খেলার ডাক পান সৌরভ। তখন স্ত্রী স্মৃতিকে নিয়ে রাজধানীতে পাড়ি জমান। ঢাকার বনশ্রীতে বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে মিরপুরের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করেন। সেখানে থাকার এক পর্যায়ে মিডিয়ায় জড়িত এক ব্যক্তির নজরে পড়েন স্মৃতি। তাদের মধ্যে পরিচয়ের এক পর্যায়ে তার বিভিন্ন স্টাইলের ছবি তুলে পত্রিকায় ছেপে তাকে মডেল ও নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখান সেই ব্যক্তি। এরপর শামসুন্নাহার স্মৃতি নাম পাল্টে পরীমনি করেন তিনি। এর কিছুদিনের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু করেন পরীমনি। যে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে সৌরভের। একদিন মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত সেই ব্যক্তিকে পরীমনি বিয়ে করেছেন বলে জানতে পারেন সৌরভ।
২০২০ সালের ১০ মার্চ পরীমনি দ্বিতীয় (তার মতে প্রথম) বিয়ে করেন। কামরুজ্জামান রনি নামে এক সহকারী পরিচালককে বিয়ে করেন তিনি। সেই বিয়েতে তারা মাত্র ৩ টাকা কাবিন করেছিলেন। বিয়ের পর পরীমনি বলেছিলেন, কাবিন কোনো বিষয়ই না। পারস্পরিক সম্পর্কটাই আসল।’ তবে কিছুদিন পর পরী জানান, তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আর বিয়েটাও সিরিয়াসলি করেননি।
এ ছাড়াও একটি বাগদাদের গল্প আছে পরীমনির। ঘটা করে আয়োজনে সেই বাগদাদ অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন