নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:: ছোট বাচ্চাদের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের করগাঁও ও সাকোয়া গ্রামবাসীর মধ্যে দুই ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের শিশুসহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । এসময় হামলায় প্রায় ৮ থেকে ১০টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়।সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ইনচার্জ ডালিম আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে থানায় খবর দিয়ে আরও অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে দুইঘন্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিকে নিয়ে আসেন পুলিশ সদস্যরা ।রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে সাকোয়া ও করগাঁও গ্রামে মধ্যবর্তী স্থানে আমন ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে । এর মধ্যে গুরুত্বর আহত ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে । সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ- বাহুবল এর সার্কেল এসপি আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে আসেন।জানা যায় , সাকোয়া গ্রামের পুত্র বেনু মিয়ার পুত্র সমির ও করগাঁও গ্রামের নুরুল মিয়ার পুত্র টুটুল গউস মিয়ার ফিসারির পাশে একটি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই বাচ্চার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে । এসময় করগাঁও গ্রামের জনৈক মুরুব্বী দুই বাচ্চার ঝগড়া মীমাংসা করতে গিয়ে সাকোয়া গ্রামের শিশুকে তাপ্পর মারেন । এ খবর সাকোয়া গ্রামের লোকজনের কাছে পৌঁছলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । পরে সাকোয়া গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে করগাঁও গ্রামবাসীর উপর হামলা করে । হামলার খবর করগাঁও গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে করগাঁও গ্রামবাসীর সাথে গুমগুমিয়ার গ্রামের লোকজনসহ একসাথে জড়ো করে পাল্টা হামলা চালায়। দুই ঘন্টাব্যাপি এই সংঘর্ষে শিশু বাচ্চাসহ দুই গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন ।নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমদ জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে । উভয় গ্রামবাসীর সাথে সমজোতার চেষ্টা করছে পুলিশ। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে ।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন