নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট নগরীর কাষ্টঘরের জল্লা’য় জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনায় এসএমপি’র কোতোয়ালী থানা মামলা হয়েছে।
আহত ব্যবসায়ী নগরীর উপশহর এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে এবাদুর রহমান (৩৪) বাদী হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। পরে ঘটনাটি তদন্ত করে মামলা রুজু করে এসএমপি’র কোতোয়ালী থানা। মামলা নং-০৭ (০৫/০৭/২১ইং)। ৪ জুলাই রোববার কাষ্টঘরের জল্লা’র সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় আসামীরা হলেন- ছড়ারপার এলাকার মৃত মরহুম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে মজলাই (৫৭), তার দুই ছেলে কয়েছ আহমদ (৩৭) ও ছামসুল ইসলাম (২৮) এবং একই এলাকার মৃত জমির মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ (২৮) ও সুমন আহমদ (৩৭) সহ অজ্ঞাত ৩ জন।
এসএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এসএম আবু ফরহাদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নগরীর ছড়ারপার এলাকার হাবিবুর রহমান মজলাই ও ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী এবাদুর রহমানের মধ্যে পূর্ববিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে রোববার বিকেলে এবাদুর রহমান বাসা থেকে চালিবন্দর জল্লা এলাকায় যাওয়ার পথে হাবিবুর রহমান মজলাই,তার ছেলে কয়েস আহমদ ও শামছুল আহমদসহ ইমন আহমদ, সুমন আহমদ মিলে রামদা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এবাদুর রহমানের উপর হামলা চালায়। হামলায় এবাদুর রহমানের মাথায় আঘাতের কারনে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পরে যান। তারা বাঁশ ও লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারি ভাবে আঘাত করে। এসময় তার সাথে থাকা নগদ বিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এবাদুর রহমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন এবাদুর রহমানকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা গেছে, কাষ্টঘরের ‘জল্লা’ নামে পরিচিত জলাভূমি নিশ্চিহ্ন করার টার্গেটে মাঠে নেমেছে প্রভাবশালী একটি মহল। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে অদৃশ কারনে আমলে নিচ্ছেন না। তাইতো জমি দখলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মজলাই গং।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন