সোমবার থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এদিকে লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই সিলেটে কঠোর অবস্থানে নেমেছে পুলিশ। লকডাউন কার্যকরে নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমসপি)। যান চলাচল সীমিত রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে তৎপরতা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে কঠোর লকডাউন। তখন এই তৎপরতা আরও জোরদার করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।সোমবার লকডাউনের প্রথম দিনে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫৫ টি গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও ৪১ টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি জব্দ করেছে এসএসপি। বিধি ভঙ্গ করে সড়কে চলাচলের কারণে তাদের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) দিনব্যাপী সিলেট নগর ও নগরের উপকণ্ঠের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের এসব অভিযান চালায়।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সোমবার (২৮ জুন) থেকে তিন দিন সীমিত ও আগামী ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
এই সময়ে রিকশা ও পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া সব ধরণের যাত্রীবাহী গাড়ি বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও সোমবার ভোর থেকেই সিলেটজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলো সিএনজি অটোরিকশা।এছাড়াও সিলেটে সোমবার দিনব্যাপী ভাড়ায় যাত্রী বহন করেছে ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। সিলেট শহর থেকে দূরে যেতে যাত্রীরা এসব গাড়ি ব্যবহার করেছেন।
তবে লকডাউনকালীন সরকারি বিধিনিষেধ মানাতে পুলিশও ছিলো তৎপর। সোমবার সারা দিনে এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ ৫৫ টি গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও ৪১ টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি জব্দ করেছে।
প্রসঙ্গত, লকডাউন বাস্তবায়নে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ২০টি টিম মাঠে রয়েছে। নগরী ও নগরীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে সোমবার তারা অবস্থান নেয়।মেট্রোপলিটন ৬টি থানা, ৮ ফাঁড়ি, ৩টি তদন্ত কেন্দ্র, ট্রাফিক বিভাগ, গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ লাইন্সের পুলিশ দিয়ে গঠিত ২০টি ইউনিট সোমবার ভোর থেকেই মাঠে ছিলো বলে জানিয়েছে এসএমপি সূত্র।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন