বিশেষ প্রতিবেদক:: সিলেটে নানা কারণেই মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ছিল আলোচিত-সমালোচিত।
প্রায়ই এ বিভাগে নিরীহ মানুষকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠত। গত তিন বছর থেকে এমন অভিযোগ মিলছে না এ বিভাগে। নিরবচ্ছিন্ন গতিতে চলছে এসএমপি’র এই বিভাগ।
আসামি গ্রেফতার, মাদক উদ্ধার, পরোয়ানার আসামি গ্রেফতার অব্যাহত থাকলেও লজিস্টিক সাপোর্ট এবং অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে এ শাখার কার্যকর্ম আরও গতিশীল হবে।
গোয়েন্দা শাখায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা বা উৎকোচের বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় সরকারের কঠোর নজরধারী রয়েছে।
তবে- এই বিভাগের নেই নিজস্ব ভবন, রয়েছে জনবল এবং যানবাহন সংকট। নগর পুলিশের কমিশনার এ বিভাগের চৌকস কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রায়ই মতবিনিময়, কল্যাণ সভাসহ সবসময় দিকনির্দেশনা অব্যাহত রেখেছেন। গোয়েন্দা শাখাও তাদের ডিসির নেতৃত্বে করোনাকালীন সময়ে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি, মাস্ক ও সেনিটাইজার বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
ডিসি ডিবির গোয়েন্দা পুলিশের ঘুস, দুর্নীতি থেকে সরিয়ে আনতে কঠোর নির্দেশনার পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে এ বিভাগের সব পুলিশ সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে চা-পানের জন্য একটি টি-স্টল তার অফিসের সামনে চালু করেছেন।
জানা গেছে, বিপুল পরিমাণের মাদক উদ্ধার ও বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেফতারের পাশাপাশি এ বিভাগে গত ৬ মাসে প্রায় ১২০টি মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপপুলিশ কমিশনার সঞ্জয় সরকার জানান, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী গোয়েন্দা শাখার কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এ বিভাগের কার্যক্রম যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক গতিশীল ও জনবান্ধব।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন