আষাঢ়ের শুরু থেকেই স্বভাবতই বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। গত দুই দিন ধরেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এটি আরও একদুই দিন স্থায়ী হতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণ হতে পারে দেশের চারটি বিভাগে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে সারাদেশেই এখন কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আরও দুই দিন এমন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তারপর কমতে শুরু করবে বর্ষণ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘এখন তো পুরোদমে আষাঢ় মাস চলছে। আমাদের দেশে কাগজে-কলমে জুনের মাঝামাঝিতে আষাঢ় আসলেও আমরা জুনের শুরু থেকেই আষাঢ় মাস বা বর্ষাকাল ধরে থাকি, যা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।’
এমন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নগরে থাকবে জানিয়ে আব্দুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘আষাঢ়ের শুরুতে টানা বৃষ্টি না হলেও এখন আরও এক দুই দিন এমন বৃষ্টি থাকতে পারে।
‘এরপর একটু একটু করে কমতে শুরু করবে বৃষ্টি। তবে যেহেতু মৌসুমি বায়ুর প্রভাব রয়েছে তাই ঢাকাসহ সারা দেশেই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।’
এ বছর গত ৩০ বছরের গড় বৃষ্টিপাতের ধারা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘এবার আমরা যেমন বৃষ্টি আগে থেকে আশা করেছিলাম সেটি পাব। গড় বৃষ্টিপাত ৪৩৫ মিলিমিটার এর বেশি বা কাছাকাছি থাকতে পারে। আষাঢ়েই এমন বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন