• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট শামসুদ্দীন হাসপাতালে নেহারি রাণী’র কসাইখানা

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত এপ্রিল ১১, ২০২১
সিলেট শামসুদ্দীন হাসপাতালে নেহারি রাণী’র কসাইখানা

খলিলুর রহমান::করোনা কালে রোগীদের কাছ থেকে বেআইনীভাবে কোটি টাকা আয় করেছে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দীন হাসপাতালের কর্তা ব্যক্তিরা। সম্প্রতি এ টাকা আত্মসাত ও ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশৃঙ্খল পরিবেশ। ভেঙ্গে পড়েছে কর্মকর্তা কর্মকর্তা ডাক্তার ও নার্সদের চেইন অব কমান্ড। যার যার ইচ্ছে মতে পালন করছে দায়িত্ব ও কর্তব্য। ফলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্য শুরু হয়েছে নাভিশ্বাস।

অভিযোগে প্রকাশ- বৈশ্বিক মহামারি করোনার শুরু থেকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দীন হাসপাতালকে করা হয় সিলেট বিভাগের করোনা আইসোলেশন সেন্টার। খোলা হয় কলোনা রোগীর জন্য আইসিইউ ঔয়ার্ড।

এ ওয়ার্ডে রোগীদের ফ্রি ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও ফ্রি ভর্তি করা হয় না গুরুতর আক্রান্ত রোগীদের। শুরু থেকেই প্রত্যেক রোগীদের কাছ থেকে রসিদবিহীন আদায় করা হচ্ছে সিট ভাড়া ২ হাজার টাকা করে। এভাবে ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত রোগীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় প্রায় কোটি টাকা। এ টাকা শ্রেণিভেদে ভাগ-বাটোয়ারা করা হতো কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্টাফ নার্সদের মধ্যে। জমা ও হিসাব রাখতেন কর্তব্যরত একজন স্টাফনার্স।

সম্প্রতি শামসুদ্দীন হাসপাতালের উপ-সেবা তত্বাবধায়ক নেহারি রাণী দাস অবৈধ আয়ের এ টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা তার কাছে নিয়ে যান। এর পর থেকে এ টাকার আর কোন হদিস নেই। স্টাফ নার্সদের অভিযোগ-সবার প্রাপ্য এ টাকা হাসপাতালের সেবা তত্বাবধায়ক নেহারি রাণী দাস একাই খেয়ে ফেলেছেন। অনেকবার চাওয়া সত্বেও তিনি এই টাকা না দিয়ে অধীনস্থদের নানাভাবে হয়রানী ও মনসিক টর্চার করে চলেছেন। ফলে শহীদ শামসুদ্দীন হাসপাতালের স্টাফ নার্স-সহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও অসন্তুষ। ভেঙ্গে পড়েছে স্টাফ নার্স ও বয়-ব্রাদারদের চেইন অব কমান্ড।

চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন করোনা আক্রান্তরা।

এ বিষয়ে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে রোগীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে গ্রহণের কথা স্বীকার করে জানান- আইসিইউ-এর যন্ত্রপাতি সচল রাখতে এবং অতিরিক্ত ব্যায় নির্বাহে এ টাকা গ্রহণ করা হয় এবং এ খাতেই তা’ ব্যয় করা হয়। কোন রসিদ দেওয়া না হলেও একটি খাতায় হিসাব রাখা হয় এবং কর্তব্যরতরা এর হিসাব ম্যান্টেইন করে থাকেন বলে জানান তিনি।

রোগীদের কাছ থেকে বেআইনীভাবে টাকা আদায় ও দেড়লাখ টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে শহীদ শামসুদ্দীন আহমদ হাসপাতালের উপ-সেবা তত্ত্বাবধায়ক নেহারি রাণী দাশ-এর মুঠোফোনে এবং সরেজমিনে কথা হলে সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ তিনি।

সব মিলিয়ে সিলেটস্থ শহীদ শামসুদ্দীন হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা সেবার বদলে করোনা কসাইখানা বানিয়ে ফেলেছেন উপ-সেবা তত্বাবধায়ক নেহারি লাণী দাস। এমন আভিযোগ রোগীসহ সংশ্লিষ্টদের।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন