জুবের আহমদ। সীমান্তবর্তী চোরাচালান সিন্ডিকেটের কাছে তিনি ‘বিজিবির লাইনম্যান’ হিসেবে পরিচিত।
সীমান্তে চোরাচালানের লাইন পরিচালানা করে হয়েছেন অঢেল টাকার মালিক।বর্তমান সময়েও তিনি চোরাচালান নিয়ে মরিয়া।
গড়ে তুলেছেন আলাদা সিন্ডিকেট। গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের রাজনীতেতে জড়িত এই নেতা শান্তি দিচ্ছেন না নিজের দলকেও।
চোরাকারবারি ছাড়াও দলীয় মিছিল-মিটিংয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বেঁধাইল্লাদের অনুমেয়ে নিজের শক্ত অবস্থান দেখাতে গিয়ে হয়েছেন বিতর্কিত। তার আইন ও দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য এখন রীতিমতো ‘ত্যক্ত’ গোয়াইনঘাটের মানুষ ও তার দলের নেতারা।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে রয়েছে জুবের আহমদের নিজস্ব একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট দিয়ে সীমান্তবর্তী চোরাচালানের একটি ‘লাইন’ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।
চোরাচালানের ‘বিজিবি লাইনম্যান’ হিসেবে থাকায় চোরাকারবারিদের মধ্যে তাকে আলাদা পরিচিত এনে দিয়েছে। তার মাধ্যমে সীমান্তে চোরাচালানের লাইন নিয়ন্ত্রণ করছেন তার ভাই দুলাল, নাজিম, হুমায়ুন, নবী, জাহের ও মোজাম্মেল,রাসেল ও কামাল।
চোরাচালানের অভিযোগে গত ২০২২ সালের ১১ মে গোয়াইনঘাট থানায় তার বিরুদ্ধে মামালা দায়ের করা হয়। গোয়াইনঘাট থানার ১৪/২২ নং মামলায় ২ নম্বর আসামি হলেন জুবের আহমদ।
সূত্র জানায়, গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবের আহমদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি- যুবদলের মিছিল-মিটিংয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে উপজেলা নির্বাচনে বহিষ্কৃত নেতা শাহ আলম স্বপনের নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন জুবের।
এসব অনুষ্ঠানের ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়। গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ আহমদ বলেন, যুবদলের জুবের আহমদের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের ডকুমেন্টসসহ একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিয়ষটি জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে.।খবর: সুরমা টাইমস
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন