বিশেষ প্রতিবেদকঃঃসিলেটের গোয়ানঘাট উপজেলার জাফলং সীমান্তের,চোরাকারবারীদের নিয়ন্ত্রণে চলছে বিজিবি, ডিবি পুলিশ, ও থানা পুলিশের নামে চাঁদাবাজি।,
লাল মাটি, আমতলা,সোনা টিলা, এলাকা দিয়ে, চিনি, চা পাতা , কসমেটিক শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গা, মোবাইল ফোন, মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য। ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে।
মান্নান মেম্বার,নুরুল শিকদার, জাহিদ,ও নাজিমসহ তাদের একটি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে চলছে চোরাচালানের রমরমা ব্যবসা। ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করা নিষেধ থাকলেও নেই তাদের কোন বাধা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপটের সাথে তারা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের চোরাচালান ব্যবসা।এই সিন্ডিকেটের লাইনম্যানদের নিয়ন্ত্রণে একেক সময় একেক পথ ব্যবহার করে ভারত থেকে আনা ভারতীয় পণ্য ও দামি ব্র্যান্ডের মালামাল নিয়ে আসছে।
তাছাড়া বেড়েই চলেছে মান্নান মেম্বার বাহিনীর অত্যাচার।স্থানীয় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এহন কোন কাজ করতেও পিচপা হচ্ছেনা না এই বাহিনী।
এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সীমান্ত এলাকার ব্যাবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।এই বাহিনীর অন্যতম প্রধান অসাধু ব্যক্তিদের লাইনম্যান মন্নান মেম্বার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেও কথা বলার সাহস রাখেন না।
সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে জাফলং পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে নুরুল শিকদার, জাহিদ,ও নাজিম সিন্ডিকেট।
এই সিন্ডিকেট এর নেতৃত্বে চোরাচালানি চক্রের শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। গোয়াইনঘাট,তামাবিল,পশ্চিম জাফলং এলাকায়। অন্তত ৩০-৩৫ জনের এ সিন্ডিকেটের নেতা মন্নান মেম্বার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন,এই সিন্ডিকেটের নুরুল শিকদার, জাহিদ,ও নাজিম তদারকিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে যায় মটরশুঁটি,স্বর্ণসহ নানা জিনিস। আর বাংলাদেশে আসে ভারতীয় মদ, কসমেটিক্স, মোটরসাইকেল, ইয়াবা,অস্ত্র,কিট, টিস্যু কাপড় সহ নানা পণ্য। প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার এলাকা একাই নিয়ন্ত্রণ করে এই বাহিনী।
প্রতিমাসে চোরাচালানের এই লাইনম্যান আবার রদবদল করে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, সার্কেল এসপি, বিট অফিসার, জেলা উত্তর ডিবির নিয়োগপ্রাপ্ত ওসি ও বিজিবির বিভিন্ন ক্যাম্প কামান্ডাররা। যার ফলে রেঞ্জ ডিআইজি, বা জেলার এসপি কোন নির্দেশ বা আদেশ কার্যকর হচ্ছেনা গোয়াইনঘাট থানা এলাকায়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট রেঞ্জে ডিআইজি মাসিক অপরাধ পর্যালোচনায় সভায় এসব সীমান্তের চোরাচালান বন্ধ করতে জেলার এসপিদের কঠিন নির্দেশনা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু কোন নির্দেশনাই আমলে নেয়নি গোয়াইনঘাটের স্থানীয় প্রশাসন।
তবে চোরাচালান বন্ধের বদলে পাল্টেছে চোরাচালান সচল রাখারার নিত্য নতুন কৌশল। আগে প্রতি মাসে সীমান্তেরঘাট অলিখিত ইজারা দেওয়া হতো মাসিক ২০/২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু এখন চলছে কমিশনের খেলা। গতকাল সরেজমিন গোয়াইনঘাট এলাকায় গেলে নতুন করে উঠে আসে চোরাচালান নতুন নিয়ন্ত্রকদের নাম। এরা বেশীর ভাগই জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজনৈতীক লেবাসদারী।
আগে যেসব চোরাচালানের লাইন নিয়ন্ত্রণক করতো স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের নেতারা। গত ৫ আগষ্টের পরে এসব লাইন নিয়ন্ত্রন করছেন যুবদল, শ্রমিকদলের কতিপয় কিছু পাতি নেতা। যদিও চোরাচালানে অভিযোগে জেলা বিএনপি বেশ কয়েকজন দল থেকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করেছে। উপজেলার পূর্বজাফলং সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন আব্দুল মান্নান উরফে মান্নান মেম্বার। তিনি জাফলং গুচ্ছ গ্রামের সাদ্দাম রুহির ছেলে। তিনি চোরাচালানের মাঠে এখনও অপ্রতিরোধ্য।নুরুল শিকদার, জাহিদ,ও নাজিমকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাহিনী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- তামাবিল ও জাফলং এলাকার চোরাকারবার নিয়ন্ত্রণ করে এই শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট টাকার বিনিময়ে চোরাচালানের লাইন বিক্রি করে। ২০-২৫ লাখ টাকায় এই লাইন বিক্রি করা হয়। আর লাইনের মাধ্যমে চোরাচালানের সব মালামাল ভারতে প্রবেশ করে এবং আসেও।
জাফলংয়ের সচেতন মহলের দাবি জাফলং সীমান্তের আতঙ্কের আরেক নাম মন্নান মেম্বার, নুরুল শিকদার, জাহিদ,ও নাজিম সিন্ডিকেট পরিবারের সদস্যদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনতে পারলে ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এদিকে ক্রমেই বাড়ছে চাদাবাজি এই সিন্ডিকেটের চোরাকারবারিদের চোরাচালান কর্মকাণ্ড। এর ফলে বছরে সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন