• ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১২ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

২ নং পশ্চিম জাফলংয়ে আল আমিন ও শ্যাম কালার ছত্রছায়ায় সোনারহাট সীমান্ত যেন ‘চোরাই রাজ্য’

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ৫, ২০২৪
২ নং পশ্চিম জাফলংয়ে আল আমিন ও শ্যাম কালার  ছত্রছায়ায়  সোনারহাট সীমান্ত যেন ‘চোরাই রাজ্য’

বিশেষ প্রতিবেদকঃঃ লাইনম্যান খ্যাত শ্যাম কালা ও আলামিন।এক নামেই তাদের চিনেন সবাই।গোয়াইনঘাট সীমান্ত থেকে জাফলং সীমান্ত পর্যন্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে তারা।

সীমান্তে বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের কারণে অনেক আলোচিত।অতীতে এই সিন্ডিকেটের ইশারায় সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র ওপর হামলা চালানো হয়েছিলো।এই হামলার মামলাও হয়েছিলো কিন্তু তার অবৈধ টাকার কারনে তদন্ত অফিসারকে ম্যানেজ করে সেই মামলা থেকে বাদ পড়েন। বর্তমানে সোনারহাট বিজিবি ক্যাম্পকে ম্যানেজা করে শ্যাম কালা ও
আল আমিনের নেতৃত্বে চোরাচালানি চক্রের শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে সোনারহাটে এলাকায়।প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যেই চলছে রমরমা তাদের চোরাই পণ্য বাণিজ্য।এই সিন্ডিকেটের নাম শুনলেই আঁতকে উঠেন সোনারহাট, পান্তুমাই,বাবুরকোনা,শ্যামপুর,এলাকার মানুষ। চাঁদাবাজি,কথায় কথায় মারধর,হুমকি-ধমকি, চোরাকারবারিদের ওপর হামলা সবকিছুই যেন তাদের কাছে মামুলি ব্যাপার। কালা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। এরপরও তারা দাপিয়ে বেড়ান ক্ষমতার দাপট নিয়ে।তাদের দাপটে অতিষ্ঠ গোয়াইনঘাট সিমান্তের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ।

বর্তমান অবস্থায় সোনারহাট বিজিবি ক্যাম্পকে সাথে নিয়ে শ্যাম কালা,আল আমিন,আজাদ,বুলবুল তারা প্রকাশ্যই নিয়ন্ত্রণ করছেন সোনারহাট সিমান্তের অপরাধ জগৎ।গোয়াইনঘাট থেকে ২ নং পশ্চিম-জাফলং এলাকার একটি সিন্ডিকেট গ্রুপের দলনেতা শ্যাম কালা। কোথায়,কীভাবে,মাজে মধ্য কোন চোরাচালানে মাল লুটপাট করতে হবে—এসবের নির্দেশনাও দিয়ে থাকেন শ্যাম কালা ।তার অপকর্মের ভয়ংকর তথ্য আছে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে।তাদের এমন দাপট খোদ সিমান্তের বিজিবি প্রশাসনকে’ও দেখান ক্ষমতা।তার এসব কাজে বাধা দেওয়ারমত কেউ আছেন বলে তার মনে হয়না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গোয়াইনঘাট পশ্চিম-জাফলং এলাকার একাংশ ঘিরেই সন্ত্রাসী চোরাকারবারি শ্যাম কালার একক রাজত্ব।একের পর এক ঘটনা ঘটালেও প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে দাপটের সঙ্গে চলেন তিনি।সম্প্রতি সোনারহাট বিজিবির সামনেই সিমান্তে অনেক চোরাকারবারিদের মারধর করে তাদের মালামাল নিয়ে যান।কিন্তু তার কাজে বিজিবিকেও বাধা দিতে দেখা যায়নি।কালা ও আলামিন বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।মোটকথা আজাদ বুলবুল তাদের ভয়ে গোয়াইনঘাটের সবাই চুপ।শ্যাম কালার দাপটে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে খোদ সোনারহাট বিজিবিও ভয়ে ভয়ে থাকে।গরু,মহিষ,কসমেটিক মোটরসাইকেল চোরাচালানের শীর্ষে শ্যাম কালা। অতিতে নানা অপকর্মের মূলহোতা শ্যাম কালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সিমান্ত এলাকার অসংখ্য মানুষ উল্টো হয়রানির শিকার হয়েছে। বর্তমানে সোনারহাট সিমান্তে প্রকাশ্যে চোরাচালান করলেও বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা শাম কালাকে দমাতে অনীহা দেখাচ্ছেন। শ্যাম কালা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।

এদিকে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় কয়েকটি বাজার। এছাড়া অন্যান্য পণ্য সিলেট নগরীতে নিরবে প্রবেশ করছে। চোরাকারবারি শ্যাম কালার  রংবাজির ফলে স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন-যাপন করছেন।

এ ব্যাপারে শ্যাম কালা ও আল আমিনের মুঠোফোনে একাধিক কল দেওয়া হলে রিসিভ হয়নি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন