• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিছানাকান্দি থেকে উধাও শতকোটি টাকার পাথর : নেপথ্যে প্রভাশালী চক্র

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৪, ২০২৪
বিছানাকান্দি থেকে উধাও শতকোটি টাকার পাথর : নেপথ্যে প্রভাশালী চক্র

সবুজ পাহাড় থেকে স্বচ্ছ পানির শ্রুত ধারা পাথরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার মনোরম দৃশ্য আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।

সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে বিছানাকান্দির সৌন্দর্য পর্যটন স্পট হিসেবে সারাদেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষের পছন্দের শীর্ষে। বিশেষ করে ছুটির দিনে বিছানাকান্দিতে পর্যটকদের ঢল নামে।

দেশের এই দর্শনীয় পর্যটন স্পট আজ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন এর পর বিছানাকান্দির ভারত সীমান্তবর্তী স্থান থেকে প্রায় শতকোটি টাকার পাথর উধাও হয়ে গেছে। যে পাথরের উপর স্বচ্ছ পানির শ্রুত ধারা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতো সেই যায়গায় এখন গভীর গর্ত ছাড়া কিছুই নেই। এই পাথর লুটের নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাশালী চাঁদাবাজ চক্র। এই চক্রের নেতৃত্বেই লুট করা হয়েছে শতকোটি টাকার পাথর।

সীমানা পিলারের ১৫০ মিটার নো ম্যানস ল্যান্ড হিসেবে চিহ্নিত থাকে। নোম্যানস ল্যান্ড হিসেবে চিহ্নিত স্থানে থেকে যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ অপসারণ আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ। কিন্তু বিছানাকান্দি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তলনকারীরা নো-ম্যানস ল্যান্ড-এর কয়েক মিটার ভিতর পর্যন্ত অবৈধভাবে পাথর উত্তলন করছে।

সরজমিন পরিদর্শন এর সময় গোয়াইনঘাট উপজেলার তোওয়াককুল ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা হুসেইন মোহাম্মদ সজিব এর নেতৃত্বে ভূমি অফিসের একটি টিম একটি পাথরবোঝাই নৌকাসহ পাথর উত্তলনকালে দুইজন শ্রমিককে আটক করেন। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন শ্রমিক ৭ থেকে ৮টি নৌকা নিয়ে পাথর উত্তলন শুরু করে। কোনো ধরনের ভয়ভীতি ছাড়াই প্রকাশ্যে দিবালোকে বিছানাকান্দি থেকে অবৈধ ভাবে এখনো পাথর উত্তলন করা হচ্ছে। বিকেল ৩টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজিবির কোনো সদস্য চোখে পড়েনি।

এমনকি অবৈধভাবে নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে পাথর উত্তলন বন্ধে বিজিবির কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

গোয়াইনঘাট ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফনে আলাপকালে তিনি বলেন, বিছানাকান্দি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তলন এর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু নো-ম্যানস ল্যান্ড বিজিবির আওতাধীন। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বিজিবি’কে বিষয়টি অবগত করেছি। বিজিবির পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

স্থানীয় কয়েকজন যুবক জানান, ৫ আগস্টের পর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতায় দিন রাত ২৪ ঘণ্টা এখান থেকে পাথর উত্তলন করা হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার মাথর উত্তলন করা হয়। সাংবাদিক দেখলেই কিছু সময় পাথর উত্তলন বন্ধ করে অনেক সময় সাংবাদিকদের সামনেই তারা পাথর উত্তলনের কাজ চালিয়ে যায়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন