দুই বছর পর সিলেট জেলা ও মহানগর জাতীয়তাবাদী যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ২৯১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা ও ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর কমিটি অনুমোদন করেছেন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দ তাদের পছন্দের লোকজনকে কমিটিতে পদ দেওয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা নগরীতে ঝাড়ু মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
জানা যায়, সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাদের সরাসরি ভোটে ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদলে মোমিনুল ইসলাম সভাপতি ও মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অন্যদিকে মহানগর যুবদলে শাহনেওয়াজ বখত চৌধুরী সভাপতি ও মির্জা মো. সম্রাট হোসেন সাধারণ সম্পাদক হন।
কমিটিতে দেখা গেছে, জেলা যুবদলের কমিটি করা হয়েছে ২৯১ জনের। এর মধ্যে ২৯ জন সহসভাপতি, ৪০ জন যুগ্ম সম্পাদক, ৪৮ জন সহসাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে মাসরুর রাসেলকে। এ ছাড়া ৪৫ জনকে সহসাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। কোষাধ্যক্ষ মনোনীত হন লিটন আহমদ। কমিটির অন্যরা বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে আছেন। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন ৬৬ জন।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন বলেন, ‘ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়ার পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্র মেনেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়।’
নবনির্বাচিত মহানগর যুবদলের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ‘কমিটিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের কোনও মূল্যায়ন করা হয়নি। যাদের নিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে তারা আন্দোলন সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় ছিল। অবিলম্বে নাটক মঞ্চস্থ করা কমিটি বাতিল না করলে তীব্র আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন