• ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

১৪ ট্রাক চিনির মামলা: ‘পুলিশের লোক’ সেই দেলোয়ার মোল্লা গ্রেফতার

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুলাই ৩০, ২০২৪
১৪ ট্রাক চিনির মামলা: ‘পুলিশের লোক’ সেই দেলোয়ার মোল্লা গ্রেফতার

সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকায় ১৪ ট্রাক চিনি চোরাচালান মামলায় আলোচিত দেলোয়ার মোল্লা(৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে জালালাবাদ থানা পুলিশ।

এর আগে একই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তারা দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে দেলোয়ার মোল্লার নাম জানিয়েছিলেন। দেলোয়ার মোল্লা সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার হাদারপার নতুন ভাঙা হাওর এলাকার বাসিন্দা।রবিবার (২৮ জুলাই) ভোরে হাদারপার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গত ২ জুলাই দেলোয়ার মোল্লাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে দেলোয়ার মোল্লার ছবিসংবলিত ‘১৪ ট্রাক চোরাই চিনির মামলার জবানবন্দিতে এল দেলোয়ারের নাম, তিনি পুলিশের লোক’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।

দেলোয়ার মোল্লাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে পরবর্তী সময়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সোমবার (আজ) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

গত ৬ জুন সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার উমাইরগাঁওয়ে ১৪ ট্রাক ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ করেছিল পুলিশ। আলোচিত এ ঘটনায় পরদিন জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর ১১ জুন মুনসুর আলী ও সদরুল আমিন নামে ট্রাকচালক দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে দেলোয়ার মোল্লার নামটি প্রকাশ পায়। দেলোয়ার মোল্লা পুলিশের লোক হিসেবে ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন।

গত ২ জুলাই খবরের কাগজে গোয়াইনঘাট থানার ওসির সঙ্গে দেলোয়ার মোল্লার একটি ছবিসংবলিত প্রতিবেদন প্রকাশ হলে জালালাবাদ থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। কিন্তু দেলোয়ার মোল্লা আত্মগোপন করায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন