• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুন ৯, ২০২৪
কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে রাস্তায় গাড়ি আটকিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে জুয়েল আহমদ (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন ছালিয়া বড় বাড়ির সুলতান আহমদ।

অভিযুক্ত জুয়েল আহমদ (৩৬) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত সোমবার দুপুর আড়াইটায় মোটরসাইকেল দিয়ে ছাতকের নোয়াকুট গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা করেন তিনি। নোয়াগাঁও মসজিদের পশ্চিমে পৌঁছামাত্র জুয়েল আহমদ ৩-৪ জন লোক নিয়ে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি হাতে নিয়া পূর্ব থেকে রাস্তার উভয় পাশে দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।

মোটরসাইকেল থামানোর সঙ্গে সঙ্গে জুয়েল আহমদ বলে এই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যেতে হলে যাওয়ার সময় ২০০ টাকা এবং আসার সময় ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হবে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় জুয়েল আহমদ বলেন, ‘সবাই দেয় তুই দিবি না কেন।’ তর্কাতর্কির একপর্যায়ে জুয়েল আহমদ ও তাহার সঙ্গীরা মারপিট করতে উদ্ধত হয়। তখন নিরুপায় হয়ে জুয়েল আহমদকে ২০০ টাকা দিতে বাধ্য হই। ফিরে আসার সময় আরও ২০০ টাকা দেব মর্মে স্বীকার করি।

অভিযোগকারী সুলতান আহমদ বলেন, ‘আমার শ্বশুর বাড়ি ওই এলাকায়। আমি একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম। তখন দেখি রাস্তায় কাজ চলতেছে। তাই আমি রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন জুয়েল দৌঁড়ে এসে আমার পথরোধ করে। জুয়েল আগে থেকেই আমাকে চেনে এবং আমিও তাকে চিনি। তারপরও সে এসে বলে টাকা দিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যেতে হবে।’

আমি এ বিষয়ে স্থানীয় মুরব্বি ও সবাইকে জানিয়েছি। ওই এলাকার মানুষের সামনে সে আমাকে প্রচুর অপমান করছে। প্রয়োজন হলে আমি সংবাদ সম্মেলন করব। এই রাস্তায় সব ধরনের গাড়ি থেকে তারা চাঁদাবাজি করে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না।

জুয়েল নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে রাস্তায় চাঁদাবাজি করছে। সে এই রাস্তায় চলাচলকারী ট্রলি গাড়ি থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা নিয়ে থাকে।

এ বিষয়ে জুয়েল আহমদকে বারবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলা উদ্দিন বলেন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে অপরাধ করলে দল কোনোভাবে এর দায়ভার নিবে না। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। কারও ব্যক্তিগত অপরাধের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ যুবলীগ কোনোভাবে জড়িত নয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, চাঁদাবাজির একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য একজন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ জানান, অভিযোগের কপি পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। দুইপক্ষকেই ডাকবো। দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন