নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃ শহরের প্রানকেন্দ্র সিলেটের অন্যতম শিল্প নগরী হিসাবে পরিচিত বন্দরবাজারের লালবাজার।এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি হোটেল ও গেস্ট হাউজ।এর মধ্য হোটেল এলাহী রেস্টহাউজ দেহ ব্যবসায়ী শীর্ষে রয়েছে মর্মে গুরুতরো অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে এই এলাহী রেস্টহাউযে চলছে মদ,জুয়া,সাথে আছে বুয়া ও হিজরাদের ব্যবসাসহ নানান ধরণের অসামিজ কার্যকলাপ।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই এখানে শুরু হয় জুয়ার আসর। আর তার পাশাপাশি চলে এখানে সমানতালে মাদক সেবন,হিজরা ও সমকামীসহ পতিতাদের কাজের বুয়া সাজিয়ে ব্যবসা।
নির্ভরযোগ্য এক সূত্র জানায়,হোটেল এলাহী রেস্টহাউজএ ম্যানেজার আশরাফের সহযোগীতায় কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা মোটা অংকের উৎকোছের বিনিময়ে প্রতিদিন চালিয়ে যাচ্ছে এসব কার্যকলাপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান,প্রত্যেকদিন হোটেলে অস্থানকারী,প্রত্যেক বোর্ডারের হোটেল রুম বুকিংয়ের সময় ছবি তোলার কথা থাকলেও উক্ত হোটেলে প্রায় সময় কোনো ছবি তোলা হয়না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,প্রতিদিন পতিতা ছাড়াও স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে হোটেল এলাহী রেস্টহাউজএ আসতে দেখা যায়।তারা আবার এখানে এসে ঘন্টা চারশো টাকায় রুম নিয়ে সময় কাটিয়ে চলে যায়।কেও আবার সমকামী নিয়ে হোটেলের ৪ নং কক্ষে আমোদ ফুর্তি নিয়ে ঘন্টা কাটাচ্ছেন।
অন্য আরেক ব্যবসায়ী জানান,প্রতিদিন সন্ধ্যার পরের কথা বলে শেষ করার মতো নয়।আমরা শুধুই দেখেই যাচ্ছি,আমাদের করার কিছুই নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পুলিশ এসে হোটেল থেকে বকরা নিয়ে যেতে দেখা যায়।এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে,নগরের অনেক আবাসিক হোটেল ও রেস্টহাউজএ নেই কোনো ক্যামেরা।ছবি না তোলার কারণে মাঝে মধ্যে এসব হোটেলে খুনের মতো ঘটনা ঘটলেও ঘাতক সনাক্ত না করার কারণে বিপাকে পড়তে হয় পুলিশের গোয়েন্দাদের।
সূত্র মতে,হোটেল এলাহী রেস্টহাউজএ অবস্থানকারী বেশীর ভাগই টাকা-পয়সা,স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইকারী,ভাসমান অপরাধীসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।তাদের মাদক সেবনের নিরাপদ আখড়া।
এরই কারণে রাতের ট্রেনে বা বাসে আসা দূর-পাল্লার লোকজন হোটেলে অবস্থান নিলে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ বিস্তর।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান,দীর্ঘদিন ধরে সিলেট নগরীর কানিশাইল এলাকার প্রত্যাশা ৩৭ নং বাসার বাসিন্দা ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নিয়ামত এলাহী ক্ষমতার অপব্যবহার করে বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির প্রায় সামনেই লালবাজারে মালিকানাধীন এলাহী রেস্টহাউজ নামের আবাসিক হোটেলে ম্যানেজার আশরাফ ও স্টাফ ইমান আলী প্রকাশ ইমানিকে দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে বন্দরবাজার এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে আসছিল।তবে ইমান খুব অবিজ্ঞতা সম্পন্ন পতিতা দালাল সে এর আগে হোটেল যাত্রিসেবায় পতিতা ব্যবসায় ছিলো।
সাধারণ ব্যাবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখেও থেমে থাকেনি তার হোটেলে দেহ ব্যবসা।সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সুত্র জানায়,বেশ কিছুদিন ধরে বহিরাগত ও এলাকার মাদক সেবীরা উক্ত হোটেলটি মাদক সেবনের আখড়ায় পরিণত করেছে।
নিকটে থানা থাকা সত্ত্বেও গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে বহিরাগতদের আনাগোনা দেখা যায়।এলাহী রেস্টহাউজএর ৪ নং রুমের জিলিক হিজরা প্রকাশ রনির সাথে যোগাযোগ করে কৌশলে জানা যায়,তাদের এই হোটেলে সব পাওয়া যায়,মদ,ইয়াবা সেবনের জন্য রুম, আছে কাজের বুয়া,জুয়ার আসরের ব্যবস্থাসহ অনেক কিছু।
প্রকৃত অর্থে বেশিরভাগ হোটেলে নেই কোনো পুলিশের নিয়মিত তদারকি।যার কারণে চলছে এখানে নানান ধরণের অপরাধ কর্ম।
অনেকে বলেছেন,লালবাজারে অনেক ঘটনা ঘটলেও পুলিশের অসাধু লোকদের যোগশাজসের কারণে খুনরে মতো ঘটনা ঘটলেও আলোর মুখ দেখেনা।ধর্মপ্রাণ নাগরিকরা সিলেট নগরীর এসব হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করেছেন।
এব্যাপারে জানতে স্থানীয় বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সাথে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।
হোটেল এলাহী রেস্টহাউজের মালিক নিয়ামত এলাহীর মুঠোফোনে একাধিক কল দেওয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন