সার্কভুক্ত দেশগুলোতে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান নেই। তা সত্বেও ভারতের ত্রিপুরার কীর্তমিয়ান শিল্পী সুষেন বৈদ্য বাংলাদেশ-ভারতের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন।
প্রতি বছর কীর্তন মওসুৃ বাংলা কার্তিক থেকে চৈত্র পর্যন্ত ৬ মাস বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করেন। সিলেট নগরের হালদারপাড়া ও মির্জাজাঙ্গাল এলাকাস্থ বৈদ্যদে বাসাবাড়িতে অবস্থান করেন।
এই ৬মাসে কীর্তন ব্যবসা করে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে
অর্ধকোটিরও বেশি টাকা নিয়ে ভরতে চলে যান।
কীর্তন অনুষ্ঠানে তিনি সনাতন ধর্মের রীতি,নৈতিকতা ও বিশ্বাস বিরোধী নারী-পুরুষের ডিজে নাচ, লীলা অনুকরণে অশ্লীলতা,দামালি গান ইত্যাকার সমাজ ও ধর্ম বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচলনা করেন। বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য প্রচার করেন।
তার এহেন অশ্লীল ও ধর্মবিরোধী কীর্তনীয়ান কর্মকাণ্ডে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্পরদায়ের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধে চলেছে। সিলেটে তার আগমনে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও ধর্মীয় সহিংসতা ঘটতে পারে।
এমন অভিযোগ এনে অবৈধ “দ্বৈত নাগরিক” কীর্তনিয়ান শিল্পী সুষন বৈদ্যের বিরুদ্বে বাংলাদেশ আগমন ও কীর্তন ব্যবসা রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানানো হয়ছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ও এসএমপি কমিশনার বরাবরে পৃথক অভিযোগ করে এ আবেদন করা হয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে ‘সনাতনী জাগ্রত যুবসংঘ সিলেট বিভাগীয় সভাপতি জয়ন্ত কুমার দাস লিখত আকারে এ অভিযোগ করেন।
সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও এসএমপি’র সংশ্লিষ্ট শাখা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে কীর্তনিয়া শিল্পী সুষেম বৈদ্যের ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ/ইম্যু নাম্বারে (+৯১৮৭৩০০৬৪৯২২) বুধবার বিকেলে ও রাতে বার বার কল দিলেও তিনি সিলেট পোস্ট এডমিনের কল রিসিভ করেননি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন