নিজস্ব প্রতিবেদক : মুসলমান ধর্মালম্বিদের কাছে ওলিদের মাজার একটি পবিত্র স্থান। এর পবিত্র রক্ষা করা জরুরী।
কিন্তু খোদ ওলিদের মাজার এলাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে জমজমাট জুয়ার আসর। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে থাকে জুয়াড়িদের আনাগোনা।
ফলে বিনষ্ঠ হচ্ছে মাজার এলাকার পরিবেশ। বলছিলাম,এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার জিঞ্জির শাহ (র.)এর মাজার এলাকার।
স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, মাজার এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী কাশেম ও জামালের নেতৃত্বে এখানে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী জুয়ার সিন্ডিকেট। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে চলে জমজমাট জুয়ার আসর। স্থানীয় পুলিশের কিছু নিম্ন লেভেলের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে দিব্যি চলছে এই জুয়াযজ্ঞ। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়। এছাড়াও এখান থেকে স্থানীয় পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও কিছু অসাধু সাংবাদিকদের নামে নিয়মিত টাকা আদায় করা হয়। যার ফলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, জুয়াড়ী কাশেম ও জামাল কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই মাজার এলাকার পৃথক দুটি স্থানে স্থানীয় নেতা-খেতাদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তীর, জান্ডুমুন্ডু, তিন তাশ ও কাটাকাটি নামক জুয়ার আসর। প্রকাশ্যে এই জুয়ার আসর বসলেও নিরব ভূমিকা পালন করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও কোন সময় প্রশাসনের অভিযানে যায়, তখন অভিযানের আগেই খবর পৌঁছে যায় জুয়াড়িদের কাছে। আর খবর পেয়েই তারা পলিয়ে যায়। পুলিশ চলে আসার পর আবারো চলে তাদের আসর।
জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমার শীর্ষ জুয়াড়ী কাশেম ও জামাল দীর্ঘ দিন থেকে এই স্থানে জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রতিবাদীরা এই জুয়ার বোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তার কোন সুফল পাচ্ছেন না। যার ফলে সে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সিলেট নগরীর নগরী অন্যান্য এলাকায় জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। তবে রহস্যজনক কারণে হারুনের জুয়ার আস্তানায় কোন অভিযান হয়নি। এই এলাকার জুয়ার বোর্ড এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।
এই এলাকাটি যেন জুয়াড়িদের অভয়ারণ্য। নেই কোন পুলিশী অভিযান। বিধায় এই জুয়ার আসরে পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ দুর-দুরান্ত থেকে জুয়াড়ীরা জুয়া খেলতে আসে। জুয়াড়ীরা কোন প্রকার ভয়ভীতির তোয়াক্কা না করে নির্বিগ্নে প্রকাশ্যে দিনে ও রাতের অন্ধকারে লাইট জালিয়ে জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। জুয়া খেলার পাশাপাশি বাংলা মদ, ফেন্সিডিল ও গাজার ব্যবস্থা থাকায় উঠতি বয়সের ছেলেরাও এখানে এসে ভীড় জমায়। ফলে এলাকায় চুরি, ছিনতাই বেড়েই চলছে। জুয়া খেলার নিয়ন্ত্রণ ও টাকা ভাগাভাগি নিয়ে প্রায়ই ঘটছে মারামারির ঘটনা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, আমি খবর পেলে অভিযান চালাই। এখনই অভিযানে টিম পাঠাচ্ছি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন