বিশেষ প্রতিবেদকঃ মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় বাদী ভুগছেন ওসমানীনগর থানার রাউতখাই গ্রামের সিদ্দেক আলীর ছেলে শাহীন মিয়া।ভূমিদস্যুদের অব্যাহত হুমকির কারণে তাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
পুলিশ প্রধান আসামি সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার ই ব্লুকের স্পীং গার্ডেন ৬ নং রোডের শামীম’কে গ্রেপ্তার না করায় প্রতিনিয়ত তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী শাহীন মিয়া বলেন,প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেও ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু শামীম বাহিনী প্রভাবশালী হওয়া পুলিশও শামীমকে গ্রেপ্তার করছে না।
কেয়ারটেকার শাহিন মিয়া আরো বলেন,যুক্তরাজ্যে ম্যানচেস্টার যুবলীগের সহ-সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল আহমদ ওসমানীনগর থানার মোল্লারপাড়া মৌজায় তার পিতার ক্রয়কৃত ১৫ শতক ভূমিতে বাউন্ডারীসহ ভবন নির্মাণ করেন আমাকে দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেন এবং সেখানে বসবাসের অনুমতি প্রদান করেন।
এই ভবন নির্মাণের শুরু থেকে বালাগঞ্জ থানার মজলিসপুর গ্রামের মো.সাজিদ আলীর ছেলে আব্দুল খালিক বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে এবং ভবন নির্মাণস্থলে এসে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা না দিলে তিনি এই জায়গা দখল করে নেবেন বলেও হুমকি দেন।এ জায়গাটি তার বলেও দাবি করেন।
তারপর আমি বিষয়টি কামাল আহমদকে জানালে তিনি দেশে এসে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের খবর পেয়ে আব্দুল খালিক ক্ষুব্ধ হয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে ওই ভূমি থেকে কামাল আহমদকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করেন।
গত ১৫ই সেপ্টেম্বর আব্দুল খালিকের সহযোগীরা আমার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।তারা রাত তিনটার দিকে বাসায় প্রবেশ করে আমার হাত পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে।
তাকে কুপিয়ে জখম করে এবং কি সন্ত্রাসীদেও একাধিক দায়ের কোপে আমার ডান পায়ে রক্তাক্ত জখমের পাশাপাশি পায়ের রগ কেটে যায়।
চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হলে এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে গড়িমশি করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন।
পরে নিরুপায় হয়ে ৯ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করি।কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ মুল হোতাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য বি এন পির আব্দুল খালিক কর্তৃক এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাজ্যে ম্যানচেস্টার যুবলীগের সহ-সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল আহমদকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে না পেরে নানা ধরনের হয়রানিতে লিপ্ত হয়েছে।
এদিকে কেয়ারটেকার শাহিন মিয়াকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার মামলার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে কালো টাকার বিনিময়ে মামলার বিতর্কিত রিপোর্ট ও সাক্ষীদের জবানবন্দী গ্রহণ না করে ওসমানীনগর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সবিনয়র স্বজনপ্রীতি করে টাকার বিনিময়ে কোনরকম খোজখবর না নিয়ে,এবং কি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের দেওয়া mc রিপোর্ট না দেখে তোয়াক্কা না করে আসামিদের পক্ষে তাদের কথামতো রিপোর্ট প্রদান করেন।
এব্যাপারে জানতে ওসমানীনগর থানার এস আই সবিনয়র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বিকার করে জানান আমি সঠিকভাবে মামলার তদন্ত করে আদালতে পাটিয়েছি, খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।
মামলার বাদি শাহিন মিয়ার বাসার মালিক যুক্তরাজ্যে ম্যানচেস্টার যুবলীগের সহ-সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
ওসমানীনগরে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করেছে।
মূলত তাদের দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আড়াল করতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।তিনি আরো বলেন বালাগঞ্জের তাজপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ইকবাল হোসেন মোস্তাক আমার বাসাবাড়ি দখল করতে নানাভাবে হয়রানি ও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব অভিযোগের জবাব দিয়ে কামাল আহমদ বলেন,আমার বিরুদ্ধে বালাগঞ্জ থানার মজলিসপুর গ্রামের মো.সাজিদ আলীর পুত্র আব্দুল খালিকের বাসা দখলচেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে,আব্দুল খালিকই দীর্ঘদিন থেকে আমার বাসা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তার সহযোগী হিসেবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড-চালিয়ে যাচ্ছেন,স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত ইকবাল হোসেন মোস্তাক।তিনি আরও বলেন,আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী।
একইসঙ্গে ২০১৯ সালে ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করা এক ব্যক্তিকে আমি নিজে পুলিশ ডেকে এনে ধরিয়ে দিয়েছি এবং এ ঘটনায় আমি নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করি।এই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন