বিশেষ প্রতিবেদক::২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কথিত কিছু বিএনপি নেতার কপাল খুলে গেছে!
তারা নিজ এলাকার নিরীহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করছেন মিথ্যা মামলা। কেবলমাত্র হয়রানি আর অবৈধভাবে টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়েরের পর নানাভাবে দেয়া হচ্ছে হুমকি।
এমনকি জায়গা- জমির পুরানো বিরোধ মিটিয়ে ফেলার প্রস্তাবসহ লাখ লাখ টাকার দাবি পূরণ করা নাহলে একের পর এক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকিও দিচ্ছেন এসব বিএনপি নেতা।
তাদের কেউ কেউ আবার পুরানো বিবাদকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে ব্যাস্ত। এক্ষেত্রেও তাদের মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে মামলা। বিবেক বিসর্জন দিয়ে নিজেদের প্রতিপক্ষকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক মামলার বাদী নিজেও জানেন না যে তিনি মামলার বাদী। অনেকে আবার জানেন না তার দায়েরকৃত মামলার আসামি কে বা কারা?
এসব কারণে একদিকে যেমন মামলাগুলোর কার্য্যকারিতা নষ্ট হচ্ছে, অপর দিকে বিএনপির মতো একটা জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রতি তারা আস্তা হারিয়ে ফেলছেন।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, সিলেট মহানগরীর সৈয়দানীবাগ এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দ আফজাল হোসেন (৪৬) একজন অরাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসাবে সব মহলে পরিচিত। তিনি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি, কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নন। কিন্তু তাতে কী? রাজনীতির বাইরে থাকলেও ইতিমধ্যে তাকে একাধিক গায়েবি মামলার আসামি করা হয়েছে। অথচ তিনি একজন ব্যবসায়ী। এর বাইরে তার পরিচয়, তিনি নিজ এলাকার একটি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি। তাঁর পৈতৃক জায়গা জমি নিয়ে কয়েকজন কথিত বিএনপি নেতার সাথে বিরোধ থাকার কারণে তাঁকে একাধিক গায়েবি মামলার আসামি করা হয়েছে। অথচ এলাকার মানুষের কাছে সত্যিকারের একজন ভালো মানুষ হিসেবে তাঁর আলাদা একটা ইমেজ ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
সৈয়দানীবাগ এলাকার যুব সমাজ ও মুরুব্বিদের একাংশের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, সৈয়দ আফজাল হোসেনসহ এলাকার আরও কিছু নিরীহ মানুষকে একইভাবে একাধিক গায়েবি মামলার আসামি করেছে কথিত মামলাবাজ বিএনপি নেতারা।
এমন মামলাবাজীতে ক্ষুব্দ তারা। বিষয়টি এতই আতঙ্কের যে, মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেয়ার আশঙ্কায় স্থানীয়রা গণমাধ্যমে নিজেদের নাম প্রকাশ করে নিন্দা বা প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছেন না।
তবে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী বলেন, বিএনপির নাম ব্যবহার করে যেভাবে এসব নেতা মামলাবাজীর মতো একটা জঘন্য খেলায় মেতে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত, মোটা দাগে তারা এই দলটিরই ক্ষতি করছেন। তাদের কারণে সাধারণ মানুষ বিএনপির প্রতি তাদের আস্তা হারিয়ে ফেলছেন।
তারা বলেন, সৈয়দ আফজাল হোসেন একজন অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। আমাদের গোটা এলাকার সর্বস্থরের মানুষের কাছে তার বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে প্রায় সব মানুষের পরিচিত এবং অত্যন্ত প্রিয়ভাজন এই মানুষটিকে ভূমি সংক্রান্ত পুরানো বিবাদের জেরে একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে বিএনপি নামধারী একদল কুখ্যাত নেতা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তারা বিএনপির ইমেজ রক্ষায় প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সৈয়দ আফজাল হোসেন-সহ এলাকার নিরীহ মানুষদের গায়েবি মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে তারা সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি মামলা মামলা খেলা বন্ধে কঠোর হস্তক্ষেপের জোর দাবি জানিয়ে বলেছেন, এখনই লোভী ও প্রতিহিংসাপরায়ন বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। অন্তত দলটির ইমেজ সুরক্ষা এবং গ্রহনযোগ্যতা ধরে রাখতে হলে এখনই মামলাবাজদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিতে ব্যার্থ হলে একসময় ঐক্যবদ্ধভাবে জনগনই তাদের প্রতিরোধ করতে মাঠে নামবে।
বিএনপির জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে হলে মামলাবাজদের লাগাম টানার কোনো বিকল্পও দেখছেন না তারা।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন