বিশেষ প্রতিবেদক:: নাম জাকির হোসেন পারবেজ দীর্ঘদিন ধরে সিলেট মহানগর ও জেলা উপজেলা যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ছিল দারুণ সখ্য। দলীয় কোনো পদ-পদবি না থাকলেও এলাকার লোকজন তাকে চেনেন যুবলীগ নেতা হিসাবে।
বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচন এবং নানা কর্মকাণ্ডে ছিলেন সক্রিয়।সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী,ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ,

সিলেট মহানগর আওয়ামিলীগের প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল।সহ,সিলেট জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার অসংখ্য ছবি এখন ফেসবুকে ভাইরাল। সম্প্রতি তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য পদ পেয়েছেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। হঠাৎ দলবদল করে কিভাবে রাতারাতি এতবড় নেতা হওয়া যায় এর দৃষ্টান্ত খোদ জাকির হোসেন পারবেজ।তবে এ বিষয়ে জাকির হোসেন পারবেজ এসব অস্বীকার করেন।

তবে সিলেট মহানগর বিএনপির কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে দলের ভেতরে বাহিরে কারও আপত্তি না থাকলেও সদস্য জাকির হোসেন পারবেজকে নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। রাতারাতি ভোল পাল্টে তিনি কিভাবে বিএনপির সদস্য পদ পেলেন এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
একাধিক বিএনপি নেতা জানান, জাকির হোসেন পারবেজ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় থাকা অবস্থায় তার ইন্ধনে অনেক নেতাকর্মী পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন। তার কাছ থেকে রেহাই পাননি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারও, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাকে বিএনপির সদস্য পদ দিয়ে সিলেট মহানগর বিএনপি নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরাপাড়া এলাকার কয়েকজন জানান, পারবেজ আমাদের এলাকার নিরীহ কয়েকজনের নামে মামলা দিয়েছে। তার কথায় মামলায় নাম ঢুকানো হয়েছে। অথচ এরা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত না।আন্দোলনের মাঠে যারা ছিলেন না, মামলা-হামলা কিংবা নির্যাতনের স্বীকার হয়নি, বিগত দিনে দাপটের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সঙ্গে , তারাই এখন বিএনপির দাপুটে ‘হর্তাকর্তা’। এদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন নব্য বিএনপি নামধারী অনেকে। যারা কখনোই বিএনপিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তারাই এখন নানা জায়গা দখল পর্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আবার তারাই এখন তৃণমূলের ত্যাগীদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। এমন একজন হচ্ছে হাইব্রিড নেতা জাকির।
তারা বলেন, আমরা এসব বিষয় নিয়ে এলাকায় বৈঠক করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষস্হানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করব।
খোজ নিয়ে জানা যায়, পারভেজের এমন মামলা বানিজ্য নিয়ে নগরীর তেররতন, সৈদানীবাগ, সাদাটিকর, সোনারপাড়া, মিড়াপাড়া, উপশহর,টুলটিকরসহ আশপাশ এলাকাবাসী আতংকে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালত থেকে যেসব মামলা তদন্তের জন্য আমাদের কাছে আসে আমরা সে মামলা গুলো সুষ্ঠু তদন্ত করে রিপোর্ট দেই।
তিনি বলেন, থানায় যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলোও ভাল করে তদন্ত করে নথীভুক্ত করা হয়। কোন নিরীহ লোক যাতে আসামী না হয় সে দিকে নজর রেখে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের আইজি স্যারের নির্দেশ যে কোন মামলা তদন্ত করে নথীভুক্ত করা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছেও এরকম অনেক অভিযোগ আসছে, আমরা সে গুলো তদন্ত করে ব্যবস্হা নিচ্ছি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন