নিজস্ব প্রতিবেদক:- বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শোরগোল ফেলেছে। ছবিটি নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন সেই সাথে অনেকে জানাচ্ছেন ধিক্কার।
ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগষ্ট অত্যাধুনিক রাইফেল হাতে পলাতক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের পালিত সন্ত্রাসী রুহুল আমিন শিপলু ও কামালির সাথে সিলেট মহানগর বিএনপির কথিত সদস্য জাকির হোসেন পারভেজকে।
এছাড়াও জুলাই আগষ্টের সব পলাতক আসামীদের সাথে তার ঘনিষ্ট খোশগল্পের ছবি নিয়েও চলছে নেতিবাচক মন্তব্য।

জানা যায়, পট পরিবর্তনের পর চতুর জাকির হোসেন পারভেজ মহানগর বিএনপির সদস্য পদটি হাসিল করেন। জাকির হোসেনের ঘনিষ্ট কয়েকজন বন্ধু নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত ২০২৪ সালের শেষের দিকে জাকির হোসেন পারভেজ যুবলীগের মহানগর কমিটিতে স্হান পাওয়ার কথা ছিল।
এর আগেই আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তিনি তার চরিত্র পাল্টে ফেলেন। নিজেকে বাঁচাতে শুরু করেন বিএনপি বন্দনা, হয়ে যান সদস্য।
সুত্র জানায়, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ রহিম আলী রাসুর হাত ধরেই তিনি সদস্য পদটি ভাগিয়ে নেন। তবে তার এই পদ প্রাপ্তিকে অনেকেই মেনে নেননি।
শুধু জাকির হোসেন না এরখম আরো অনেকেই আছেন যাদের পদ প্রাপ্তির বিষয়টি সু নজরে দেখছেন না বিএনপির ত্যাগী নেতা কর্মীরা।
বিএনপি দলীয় একটি সুত্র বলছে, এসব সুবিদাবাদী আগাছাদের দলে স্হান দেওয়াটাই বিএনপির কাল হয়ে দাড়াবে। কারন হিসবে বলা হয়, এরা স্বৈরাচারের ধূসর। এরা দলের আভ্যন্তরীন সকল কর্মকান্ড আওয়ামিলীগের কাছে পৌছে দিতে সদা তৎপর।
জাকির হোসেনের সাথে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামিলীগের সন্ত্রাসীদের ভাইরাল হওয়া ছবি এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। জাকির হোসেনের বেশ কয়েকটটি ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।
আর এসব ছবির নিচে মন্তব্যগুলো নিয়ে চলছে হাসি তামাশা। আবার অনেকে জাকির হোসেনের পক্ষ নিয়ে বলছেন, বন্ধুদের সাথে ছবি তোলা কি যায়না!!
কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে সিলেট মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে জাকির হোসেনকে এখনও তার স্ব-পদে বহাল রেখেছে তা সবার অজানা।
একটি সুত্র জানায়, জাকির হোসেন পারভেজ ইতিমধ্যে মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদকের নাম ভাঙ্গিয়ে বেশ কয়েকজন নিরীহ লোকদের মিথ্যা মামলায় ঢুকিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন থানায় নিজেও কয়েকবার গিয়ে মামলার তদবির করেছেন বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
থানায় নিজেকে মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদকেরর আস্হাভাজন বলে পরিচয় দেন। মিথ্যা মামলায় আসামী হওয়া কয়েকজন ভোক্তভোগী জানান, তাদের মামলার বিষয়টি নিয়ে এরিমাঝে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জানিয়েছেন।
অপরদিকে জাকির হোসেনকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য কয়েকজন সিনিয়র নেতা তদবির চালাচ্ছেন বলেও সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বদলীর ভয়ে মুখ খুলতে চাননি। পরে তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা সব মামলার বিষয়ে আমাদের উপরের মহলে জানিয়েছি।খবর প্রথমসকালডটকম
যারা জুলাই আগষ্টের ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া হবে। এবং যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে সহযোগিতা করেছে বা অন্য কারো জাতীয় পরিচয় পত্র ও জাল স্বাক্ষর দিয়ে মিথ্যা মামলা করেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন