রুবেল আহমেদ:সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ইসিএভুক্ত এলাকায় অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে বিজিবি-পুলিশ সহযোগে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৫০টি নৌকা বিনষ্ট করে নদীতে ফেলা হয়েছে। আনলোড করা হয়েছে ৮০০ শতাধিক নৌকার বালু এবং ৪৫টি ট্রাকের বালু আনলোড করে নদী তীরে জব্দ করা হয়। এছাড়া অভিযানে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে জাফলং ব্রীজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পয়েন্টে পরিবহন বন্ধে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘন্টার টাস্কফোর্স অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: তৌহিদুল ইসলাম। উপজেলা প্রশাসন জানায়, জাফলং ইসিএভুক্ত বালু-পাথর লুটপাট করার জন্য সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও টাঙ্গাইল এলাকা থেকে প্রায় ১০ হাজারের অধিক শ্রমিককে জাফলংয়ে আনা হয়েছে। এ বিষয়টি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং-তামাবিল এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এসব বহিরাগত শ্রমিক জাফলং খোলা আকাশের নীচে নদীর পাশে ও বালুচরে আবাসনের জন্য গড়ে তোলা ১০টি শ্রমিক ক্যাম্প অপসারণ করা হয়।
জানা গেছে, অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে জাফলং বল্লাঘাট, জুমপাড়, লাখেরপার, নয়াবস্তি ও জাফলং ব্রীজ এলাকার ৫টি পয়েন্টে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে পরিবহন বন্ধে রড-সিমেন্টের পিলার দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়।
অভিযানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সাঈদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ, বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার জাভেদসহ ৫০ সদস্যের টিম, সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্স ও গোয়াইনঘাট থানার ২০ জন পুলিশ সদস্যের টিম উপস্থিত ছিলেন।
জাফলংয়ের বালু-পাথর লুটপাটে বহিরাগত শ্রমিকদের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এসকল বহিরাগত শ্রমিকের সীমান্তবর্তী জাফলং এলাকায় অবস্থান করাটা উদ্বেগজনক। এ বিষয়টি জাফলং-তামাবিল এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন