মোঃ রায়হান হোসেন:নিম্নমানের খোয়া ও পুরোনো রাবিশে রাস্তার কাজ চলছে ধুম-ধাড়াক্কা।সিলেট সদর উপজেলার ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পীরের চক গ্রামের পাকা রাস্তায় পুরোনো ভবনের রাবিশ ও নিম্নমানের খোয়া দিয়ে নির্মাণকাজ হচ্ছে ধুম-ধাড়াক্কা।
৬৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ১ হাজার ৫৩৮ কিলোমিটার পাকা রাস্তার নির্মাণকাজে চলছে চরম দুর্নীতি ও অনিয়ম। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতা স্থানীয়দের জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
এলজিইডির অর্থায়নে আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পের রাস্তাটি সম্প্রসারণ ও সংস্কারের দায়িত্ব দেয়া হয় এম.এস বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
উল্লিখিত ১ নম্বর নতুন ইটের খোয়ারস্থলে পুরোনো ভবনের নিম্নমানের রাবিশ ও খোয়া রাস্তার নির্মাণকাজে ব্যবহার করছে এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
সহস্রাধিক মানুষের চলাচলের জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি নির্মাণে চরম দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ।
অভিযোগ আছে, এলজিইডি সিলেট সদর উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মছব্বিরের সঙ্গে যোগসাজশে ঠিকাদার সামাদ রাস্তাটির নির্মাণকাজে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিম্নমানের খোয়া ও রাবিশে চলছে এ যেন দায়সাড়া কাজ। শুধু তাই নয়, রাস্তার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের বালুও। ইতিমধ্যে নিম্নমানের খোয়া ও রাবিশ বালুর সঙ্গে মিশিয়ে রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় সাব-ব্যাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার সামাদ রাস্তার কাজে প্রচুর অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। রাস্তায় নতুন ইটের পরিবর্তে পুরোনো ইট দিয়ে এজিং করেছেন। কৌশলে রাতের আঁধারে আশপাশের বিভিন্ন স্থানের পরিত্যক্ত পুরোনো ভবনের ইট ও রিজেক্ট রাবিশ অল্প দামে কিনে এনে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন। এই খোয়া ও রাবিশ দিয়ে কাজ পরিপূর্ণ হলে রাস্তাটি তিন মাসও টিকবে না বলে শংকা করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে ঠিকাদার সামাদ ও মেম্বার আব্দুল মছব্বিরের সেলফোনে যোগাযোগ করলে উভয়ে ফোন রিসিভ না করায় কারো বক্তব্য সংগ্রহ করা যায়নি।
এলজিইডি সিলেট সদর উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, পুরোনো খোয়ার সম্পর্কে জানি না,তবে দুই একের ভিতর আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করব এবং তদন্তে যদি সত্যতা পাই তাহলে ব্যবস্থা নিব।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন