• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গোয়াইনঘাটের মেকানিক রাজু

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৫, ২০২৪
সিলেটের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গোয়াইনঘাটের মেকানিক রাজু

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের শীর্ষ মাদক সম্রাট বাড়ি জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায়।

তিনি নিজস্ব গাড়ি করে সারা দেশে মাদক দ্রব্য সরবরাহ করে থাকেন বলেন অনুসন্ধানে জানা যায় । এই মাদক ব্যবসায়ীর নাম রাজু আহমদ । তিনি একজন নওমুসলিম। বসবাস করেন উপজেলার জাফলং এলাকার মোহাম্মদপুর গ্রামে । তবে সব সময় তিনি রয়ে গেছেন প্রশাসনসহ লোকচক্ষুর আড়ালে, রাজুর পেশা তিনি একজন গাড়ির মেকানিক । জাফলং বাস স্ট্যান্ডের বিপরীত পাশের রাজুর মেকানিকের দোকান । আসলে কি তিনি শুধু গাড়ির মেরামত করেন ।

এমন তথ্যর ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে জানা যায়, রাজু দিনের বেলা মেকানিক । রাত হলে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন । এজন্য গাড়ি মেকানিক রাজুর রয়েছে ৫টি বিভিন্ন ব্যান্ডে প্রাইভেট কার । ৬টি টিসি গাড়ি, ২ টি লেগুনা । তবে গাড়িগুলো নিজের নামে খরিদ করেন নি রাজু । যেহেতু গাড়ি গুলো মাদক সরবরাহ কাজের জন্য সারাদেশে ব্যবহার করা হয় তাই কোনটি গাড়ি তার নিজের নামে নেই । বিভিন্ন ব্যক্তির নামে গাড়িগুলো খরিদ করে রেখেছেন । তার কাছে রয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ির নাম্বার প্লেটসহ জাল কাগজ ।স্থানীয়রা জানান, রাজুর মাদক সরবরাহ করতে গিয়ে তার আপন সমৃদ্ধি মোহাম্মদপুর গ্রামের শফিক মিয়ার ও মাতা মনোয়ারা বেগমের ছেলে শাহিন ৭শ বোতল ফেনসিডিলসহ হাইওয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় । এ ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে প্রমানিত হওয়ায় রাজুর সমন্ধি শাহিন আহমদকে আদালত যাবৎজীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। কিন্তু চতুর রাজু উক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামী শাহিনকে উচ্চ আদালত থেকে আপিলের মাধ্যমে জামিনে বের করে নিয়ে আসেন। রাজু একজন হিন্দু ঘরের ছেলে হলেও প্রেম করে বিয়ে করে মোহাম্মদপুর গ্রামের শফিক মিয়ার মেয়েকে । পরে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে । নওমুসলিম হিসাবে সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠে রাজু । সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এক সময় সে জড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসায় । দিনে মেকানিকের লেবাস ধরে থাকলেও রাত হলে তার মাদক ব্যবসা জমে উঠে । সামান্য মেকানিক রাজুর হঠাৎ উত্তান দেখে হতবাক স্থানীয় লোকজন। মাদক ব্যবসা করে রাজু অল্পদিনে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে যায় । কিছুদিন আগে মোহাম্মদপুর এলাকায় প্রায় কোটি টাকা দিয়ে একটি বাড়ি খরিদ করে রাজু। তার নামে বেনামে রয়েছে ১১/১২ টি বিভিন্ন ব্যান্ডের গাড়ি । রাজুর বসবাস বর্ডার এলাকায় হওয়ায় মাদক তার কাছে সহজলভ্য এ ব্যবসায় তার শশুর বাড়ির লোকদেরকে জড়িয়ে নিয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চত করে । কিছুদিন আগে যে রাজু গাড়ির চাকা মেরামত করে জিবিকা চলতো সেই রাজু স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সিলেটের প্রত্যেকটা বর্ডার থেকে নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফেন্সিডিল,আফিম, হেরোইন, ইয়াবা, বিভিন্ন ব্যন্ডের মাদক আমদানি করে থাকে । মেকানিক রাজু এই অবৈধ চোরাচালানে ব্যবহৃত ৬টি টিসি গাড়ি এবং ৫টি প্রাইভেট কার দুইটি লেগুনা ব্যবহার করে থাকে । রাস্তায় বিভিন্ন কৌশলে গাড়ির নাম্বার প্লেট বদল করে বা গাড়ি বদল করে আইনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে নির্বিগ্নে গন্তব্যে চলে যায় । প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিতে গাড়িগুলো এমন ভাবে সে ব্যবহার করে কিছু দূর পর-পর গাড়ির নাম্বার প্লেট পরিববর্তন করে কৌশল ও রোড পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক দ্রব্য পৌঁছে দিতে পারে। মাদক ব্যবসায়ী রাজুর নামে বেনামে রয়েছে জায়গা জমি আর সম্প ।

নাম প্রকাশে অন ইচ্ছুক রাজুর এক প্রতিবেশী বলেন, শুধু মাদক ব্যবসা করে রাজু এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক। তবে সে সব সময় আড়ালে থেকে আপন শালা-সমন্ধিসহ বিভিন্ন লোক দিয়ে তার নিজস্ব গাড়ি দিয়ে সারাদেশে মাদক সরবরাহ করে থাকে। তবে সে সব সময় রয়ে গেছে আন্ডার গ্রাউন্ডে। এক কথায় রাজু হচ্ছে জাফলং এলাকার মাদক সম্রাট। যদিও দিনের বেলা স্থানীয়দের কাছে রাজু সামান্য গাড়ি মেকানিক । এ বিষয়ে রাজুর বক্তব্য জানতে চাইলে, তার দোকানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি । মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন