নিজস্ব প্রতিবেদক :: সীমান্ত জনপদ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় চোরাচালানকারী চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
কিছুতে থামছে না চোরাচালান। বন্ধ হচ্ছে লাইনম্যানদের চাঁদাবাজি। আর এই লাইনম্যানরাই হচ্ছে থানা পুলিশের অবৈধ আয়ের হাতিয়ার। যার ফলে থানা পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনসার সদস্যদের নিয়ে চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলার হাতিরপাড়া-হাকুরবাজার সড়কে জনতার সহায়তায় ভারতীয় চিনিভর্তি দুটি ডিআই পিক-আপ আটক করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম আলীরগাও ও ডৌবাড়ি ইউনিয়নের হাকুরবাজার থেকে চিনি ভর্তি গাড়ি আটক করা হয়েছে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামের উপস্থিত টের পেয়ে গাড়ি রেখে হাওর-জঙ্গল দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান চোরাচালানকারীরা। গাড়ি দুটিতে চিনি রয়েছে ১২০ বস্তা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক মালামাল জব্দ করেন গোয়াইনঘাট থানার এসআই জাহিদ।
এসকল চোরাচালান চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের পিছনে রয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক নেতা বর্তমান গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য। এই নেতা সিলেটের আবাসিক হোটেল থেকে সমগ্র উপজেলায় চোরাচালানের গডফাদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। থানা পুলিশকে তিনি ম্যানেজ করছে এবং তাহার লাইনম্যানরা মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে থানা পুলিশের ভূমি রহস্যজনক।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন