• ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রদল নেতা সোহেল ও যুবলীগ নেতা আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৩, ২০২৪
ছাত্রদল নেতা সোহেল ও যুবলীগ নেতা আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে সাবেক ছাত্রদল নেতার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

গত ৬ই নভেম্বর পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ছাত্রদল নেতার খলিলুর রহমানের বাড়িতে হামলা-লুটপাট করা হয়।

একইদিনে ওই এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলী নিজে বাদী হয়ে গত ৬ই নভেম্বর গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং সাবেক ছাত্রদল নেতার খলিলুর রহমানের মা খোদেজা বেগম বাদী হয়ে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করে খোদেজা বেগমের মামলা রেকর্ডভুক্ত করেছে। গোয়াইনঘাট থানা উক্ত মামলার ৪নং আসামি হলেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ। তিনি পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে।

মামলার অন্য আসামিরা হলো- গোয়াইনঘাট থানাধীন নয়াবস্তি গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে আজগর আলী,যুবলীগ নেতা ও ৫ই আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী আকবর হোসেন, ইউসুফ আলী,জব্বার মিয়া,একই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে হাসান মিয়া,হুসাইন মিয়া,সিরাজ মিয়ার ছেলে রহমত আলী, নলজুরির মুরশেদ আহমেদের ছেলে সুমন মিয়া। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা দলবদ্ধক্রমে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা খলিলের বাড়িতে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের নাম ধরে অহেতুক অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

পরে খলিল এর প্রতিবাদ করলে দুর্বৃত্তরা ক্ষীপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও হামলা চালায় এবং নগদ টাকা স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়। হামলার মূল কারণ হচ্ছে তাদের বাড়ির সামনে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর স্তূপ করা হয়েছে।

এ সময় খলিলের পরিবারের সদস্যরা বাধা প্রদান করেন। পরে লুটপাটকারীরা ক্ষীপ্ত হয়ে একদল দুর্বৃত্তদের নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। এতে তাদের পরিবারের মহিলারাও আহত হয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলী তিনি তাদের এই ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ করেন। এই প্রতিবাদের জেরে দুর্বৃত্তরা মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলীর মামলাটি আমলে নেয়নি থানা পুলিশ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন