নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমদের ক্ষমতার দাপটে ভাতিজার বেপরোয়া চাঁদাবাজি। চাচার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ভাতিজা কাউছার আহমদ ইউনিয়নের সর্বত্র চাঁদাবাজি করে চলেছে।
অভিযোগে প্রকাশ ডৌবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমদ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেপরোয়া ছিলেন। তিনি দলের নেতাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। নিজের ফাঁয়দা হাসিলের লক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলাফেরা করছেন। এমনকি সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের কাছ থেকে স্বার্থ হাসিলের জন্য দলের বিরোধিতা করেছেন।
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে গোয়াইনঘাট বিএনপির অনেক নেতা নিজেদের অবৈধ ফাঁয়দা হাসিল করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। জাফলংয়ে লুটপাটের জন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরান, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন, জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স অন্যতম। কিন্তু এতকিছুর পরও থেমে নেই লুটপাট-চাঁদাবাজি।দিন দিন চাঁদাবাজদের নামের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবাধে আসছে ভারতীয় চোরাই চিনি, গরু ও মাদক। এসকল চোরাই পণ্য বেশিরভাগই উপজেলা সদর হয়ে হাকুর বাজার দিয়ে হরিপুরে প্রবেশ করে। আর এই চোরাই পণ্যের গাড়িগুলো হাকুর বাজার পাস দিয়ে মানিকগঞ্জ বাজারে পৌছা মাত্রই ডৌবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমদের ভাতিজা কাওসারের নেতৃত্বে একদল চাঁদাবাজ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গাড়িগুলো আটক করেন। পরে গাড়ি প্রতি ১হাজার টাকা করে আদায় করেন। এনিয়ে স্থানীয়রা প্রভাবশালী নিএনপি নেতা লোকমান আহমদের ভয়ে প্রতিবাদ করা সাহস পায়নি।
গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুব আহমদের সাথে মুঠো যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজের স্থান নেই। লুটপাট-চাঁদাবাজদের কোন ছাড় নেই। আমি লোকমানের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন