নিজস্ব প্রতিবেদক:সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার ও আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে সখ্যতার ছবি সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে ভাইরাল।এ নিয়ে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা।
গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোশাররফ হোসেন আশিকের ফেসবুক পেইজ থেকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুস্তাক আহমেদ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের একটি ছবি পোস্ট করা হয়।
ছবির ক্যাপশনে কৃষকদলের এই নেতা লিখেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে ১৫ বছর ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন এখন বিএনপির প্রথম সারির নেতা।পোস্ট করার সাথে সাথেই ফেসবুকে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।
উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়,উপজেলা বিএনপির এই নেতা কিছু সুবিধাবাদী নেতাদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে রাজনীতির আড়ালো ব্যবসা বানিজ্য করে টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছেন। আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা থাকায় বিগত বিএনপির দুর্দিনেও এই নেতা অবাধে ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে আসছিলেন।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে বিএনপির এই নেতা আওয়ামীলীগ নেতাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার সুবাধে বিল,খাল,বাজার,ঘাট সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভোগ দখল করে আসছে।
কিছু দিন আগেও উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ইকরছরি বিল হোট করে আবুল বাশার ও থানা বিএনপির সহ সভাপতি আবু হায়াত ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিপ্লব তালুকদার সহ ক্যাডার বাহিনী নিয়ে দখল দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় জেলেদের সাথে দাওয়া পাল্টা দাওয়া হয়।এক পর্যায়ে ক্যাডার বাহিনী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ইকরছরি বিল তার দখলে নেয়।
এনিয়েও চলছে স্থানীয় বিএনপির মাঝে সমালোচনার ঝর।এমত অবস্থায় দূর্নীতির সাথে জরিয়ে বিএনপির ভাব মূর্তি নষ্ট করার দায়ে এখন পর্যন্ত কোন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।তা নিয়ে সচেতন মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বলেন,এ বিষয়ে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, আমার আর কোন কিছু বলার নাই।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, আমি এব্যপারে আমার প্রেসিডেন্টের সাথে আলাপ করে খুব দ্রত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন