মোলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় গোস্তো বিক্রিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে শাহ আলম নামের এক গোস্তো ব্যবসায়ীকে হামলা করে গুরুতর জখম ও তার দোকানের কর্মচারীসহ ৩ সদস্যের উপর হামলা জখম করে আহত করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সোমবার জুড়ী উপজেলার কামিনিগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।গুরুতর আহত শাহআলম এর বাবা বাচ্চু মিয়া কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাছাড়া আহত বাকি তিনজন বাচ্চু মিয়ার ছোট ছেলে জানে আলমসহ,দোকানের কর্মচারী হেলাল আহত হয়
এ ঘটনায় শাহ আলম বাদী হয়ে জুড়ী থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সুত্র জানায়,শাহ আলম ও তার প্রতিপক্ষ করিম মিয়া তারা দুইজনই গোস্ত ব্যবসায়ী গোস্তো বিক্রিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাছাড়া এ ঘটনায় শাহ আলম ও করিম মিয়া বাদি হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে শাহ আলম বলেন,‘ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার সাথে করিমের বিরোধ চলিয়া আসিতেছে,এরই জের ধরে আমার পরিবারের উপর তার দল-বল নিয়ে অতর্কিত বর্বর হামলা চালায়,তাছাড়া আমার দোকানে রক্ষিত নগদ এক লক্ষ পাচ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এতে আমার বাবা বাচ্চু মিয়া মারাত্মক রক্ত যখন অবস্তায় জুড়ী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে,কর্মরত চিকিৎসক
সিলেট উসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন,তিনক আরও বলেন আমার ছোট ভাই জানে আলমও আহত হন, জানে আলম একজন প্রবাসি, ১২-০৯-২০২৪ রাত ৯ টা ৫০ মিনিটে বিদেশ এর উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা ছিলো, আমার চিংকার শুনে আসে পাসের দোকানদার ও পথচারিরা আমাকে ও আমার বাবাকে প্রানে রক্ষা করে।
ঘঠনা সময় আমার উপরে হামলা চালানো হয়েছে। নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে হয়তো সেও প্রতিপক্ষ একটু আহত হয়েছে।’করিম মিয়াও শাহ আলমদের আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জুড়ি উপজেলার ৫ নং জায়ফর নগর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ঘটনার সময় বাহিরে ছিলাম আমি এসে সুনছি তারা উভয় পক্ষের জগড়া হইছে তারা হাসপাতালে আছেন মামলাও হইছে। তারা সুস্থ হয়ে আসলে আমরা বসবো।
এ ব্যাপারে জানতে জুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, এস আই সিরাজ ফোন রিসিভ করে বলেন বর্তমান ওসি স্যার বদলি হয়ে গেছেন,আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবনা।
এব্যাপারে জানতে তদন্তকারী অফিসার মেহেদীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এঘটনায় করিম নামের একজন একটি মামলা দায়ের করেন যাহার তদন্তকারী অফিসার মোস্তফা ও আরেকটি মামলার বাদি শাহ আলম, তাদের পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়ে, এ ঘটনায় মামলার তদন্ত চলছে,তাছাড়া আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এব্যাপারে জানতে তদন্তকারী অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর ফরহার মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এঘটনায় শাহআলম নামের এক ব্যাক্তি একটি মামলা দায়ের করেন,
এবং শাহআলমের বিরুদ্ধে পল্টিপাল্টি মামালা করেন করিম মিয়া।
যাহার তদন্তকারী অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর মোস্তফা কামাল,
এ ঘটনায় মামলার তদন্ত চলছে,তাছাড়া আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন