সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকায় ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তারিফ হোসেন টিপু প্রকাশ টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, টিপু সুলতান সিলেট নগরীর উপশরের ডি ব্লক মেইন রোডে রিমন থাই এলুমিনিয়ামের ব্যসসার আড়ালে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। এসব ঘটনায় অনেকেরই সংসারে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যে ভুক্তভোগী তারিফ হোসেন টিপুর স্ত্রী সন্তান। তারিফ হোসেন টিপুর স্ত্রী তার স্বামীর পরকিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,তার স্বামী সিলেট নগরীর উপশরের ডি ব্লক মেইন রোডে রিমন থাই এলুমিনিয়ামের ব্যসসা করে আসছেন।সেই সুবাদে ২০২২ সালে রিতা বেগম নামের এক মহিলার সাথে পরিচয় হয় তারিফ হোসেন টিপুর। সেখান থেকে তাদের দুজনের সম্পর্ক স্থাপন হয়। এক পর্যায়ে প্রবাসীর স্ত্রী রিতা ও টিপু প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে তাদের দুজনের সংসারে প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানরা রয়েছেন।
তারিফ হোসেন টিপু সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর ডি ব্লক ৩৬ নং রোডের ৫নং বাসার বাসিন্দা ও রিতা বেগম শিবগঞ্জ এলাকার মৌচাকের ৯নং বাসার বাসিন্দা প্রবাসী শাহীদুর রহমান উরফে শাহেদ আহমদের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর পর মরিয়ম বেগম ২০২৪ সালে হঠাৎ টের পান তার সংসারের অশান্তির কারণ। তিনি বুঝতে পারেন তার স্বামী তারিফ হোসেন টিপু পরকীয়া লিপ্ত রয়েছে। এরপর তিনি স্বামীকে বুঝাতে চাইলে তিনি ব্যর্থ হন। এমনকি স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন মরিয়ম। সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় লজ্জায় কোন কিছু না বলে টিপুর নির্যাতন সহ্য করছেন মরিয়ম।
কিন্তু কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে একে ওপরের প্রেমে পােগল হয়ে যান। সেই থেকে শুরু হয় মরিয়ম বেগমের সুখের সংসারে অশান্তি। পরকীয়ায় লিপ্ত টিপুর মধ্যে চলে আসে পরিবর্তন। টিপু সংসারের খরচ না দিলেও রিতাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান দেশ দেশান্তরে। রাত্রি যাপন করেন নামিদামি হোটেলে। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি মরিয়ম ও তার সন্তানরা। তাদের সংসারে চলতে থাকে অশান্তির আগুন।
তবে এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারিফ হোসেন টিপুর ব্যবসায়ী জগতের দুইজনের সাথে আলাপে তারা বলেন, টিপুর টার্গেট থাকে প্রবাসীর স্ত্রীদের প্রতি। তাদের বাসায় থাই এলুমিনিয়ামের দরজা জানালাসহ বিভিন্ন কাজের সুবাদে তাদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে একপর্যায়ে ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কাজ করে। এসব ব্যাপারে কয়েকটি সালিশও হয়েছে।টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে
তারা আরও বলেন সেও একজন ব্যবসায়ী।
সে এই ব্যবসার সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এবং কি টিপু সুলতান সিলেট উপশহরের আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে এ ধরনের জঘন্য কাজ করে আসছিলো। তারা বলেন তার বিচার হওয়া উচিত।
পরকীয়ায় আসক্ত তারিফ হোসেন টিপুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা মামলা হয়েছে কোটের বিষয় কোটে দেখবে। এছাড়া তিনি অন্য কোন প্রশ্নে উত্তর দিতে পারবেন না।
প্রবাসীর স্ত্রী রিতা বেগম ও তারিফ হোসেন টিপুর শারিরীক সম্পর্কের একাধিক ভিডিও ও ছবি ক্রাইম সিলেটের অফিসে সংরক্ষিত আছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন