ভারতীয় চোরাই চিনির চোরাচালান যেনও কিছুতেই থামছে না সিলেটে উল্টো দিন দিন আরোও বেড়েই চলছে।
সিলেটের সবকয়টি থানার কোথাও না কোথাও দৈনিক উদ্ধার হচ্ছে ভারতীয় চোরাই চিনি।
এই ধারাবাহিকতায় সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে ১৪৭ বস্তা ভারতীয় অবৈধ চিনি উদ্ধার করছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
জানা গেছে- অদ্য রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকায় সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের ০২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফয়জুল হকের মালিকানাধীন চাতল গ্রামের পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে ১৪৭ বস্তা ভারতীয় অবৈধ চিনি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাতল গ্রামের একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা জানান- যে মুরগির খামার থেকে অবৈধ চিনি উদ্ধার করা হয়েছে সেই খামারের মালিক ইউপি সদস্য ফয়জুল হক। ফয়জুল হক মেম্বার নিজেই দীর্ঘদিন থেকে গোপনে চিনি চোরাচালান ব্যবসা করছেন। আর এটাও পরিষ্কার যে মেম্বারের যোগসূত্র ছাড়া এখানে এতগুলো চিনির বস্তা আসে কিভাবে। অবশ্যই মেম্বার এইসবে জড়িত রয়েছেন বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ফয়জুল হক জানান- গত রাতে কোন এক সময় কে বা কারা তার পরিত্যক্ত খামারটিতে ভারতীয় অবৈধ চিনি রেখে যায়। আজকে সকালে তার ছেলের মোবাইল ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারেন তার পরিত্যক্ত খামারে চিনি রাখা হয়েছে।
পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি টুকের বাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানকে অবগত করেন। চেয়ারম্যান থানা পুলিশকে জানালে বিকাল ০৫ ঘটিকায় পুলিশ এসে চিনি উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যায়।
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের এসআই আব্দুল কাদির
১৪৭ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধারের বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে জানান- উদ্ধার করা চিনির খুচরা বাজার মুল্য আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা।
এ ব্যাপারে রবিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এর সরকারি সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা যায় নি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন