• ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে ছাত্রলীগ নেতা সুমন চন্দ্র দাস ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকী

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত আগস্ট ৭, ২০২৪
জগন্নাথপুরে ছাত্রলীগ নেতা সুমন চন্দ্র দাস ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সুমন চন্দ্র দাস ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকী দেয়া হচ্ছে।

এলাকার প্রভাবশালী একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী এ হুমকী দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। আওয়ামী ছাত্রলীগের রাজনীতি ও পূজা উদযাপন পরিষদসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন পূজা কমিটির সাথে জড়িত থাকায় মৌলবাদী চক্র তাদের হুমকী ধমকী দিয়ে যাচ্ছে।

সুমন চন্দ্র দাস জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রাম্মনগাঁও সুবিদপুর গ্রামের সংখ্যালঘু সুবোধ চন্দ্র দাসের ছেলে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৭ আগস্ট দিবাগত রাত ৩টার দিকে এলাকার একটি চিহ্নিত মৌলবাদী চক্রের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের এক সন্ত্রাসী দল সুবোধ চন্দ্র দাসের বাড়িতে হামলা করে।

তারা তার ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা এবং জগন্নাথপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সুমন চন্দ্র দাসকে খুঁজতে থাকে।

তাকে না পেয়ে তারা তার ঘর ও পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাংচুর করে।

এসময় সুবোধ চন্দ্র দাসসহ বাড়ির অন্যান্য পুরুষ সদস্যরা ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান। সুমন এখন প্রাণ বাঁচাতে দেশের বাহিরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

পরদিন (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় আইনী সহায়তার জন্য সুবোধ দাস থানায় গেলে একজন কনস্টেবল ছাড়া আর কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেন।

তিনি জানান, চলমান ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ব্যাপক সহিংসতার শিকার। থানার কার্যক্রম বন্ধ। এ অবস্থায় আমরা কোথায় যাবো, কার কাছে নিরাপত্তা চাইবো বুঝতে পারছিনা। আমার ছেলে সুমন প্রাণ বাঁচাতে৷দেশ দেশান্তরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। আমাদের সামনে এখন কেবল অন্ধকার। এর আগে ২০১৫ সালেও আমার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ২০ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ লুট এবং ডাকাতদের হামলায় নারীরাসহ আমরা আহত হয়েছি।

তাছাড়া প্রায়ই এই মৌলবাদী চক্রটি পূজার্চনা ও বার্ষিক পারিবারিক কীর্তনে বাধা দেয়।

তারা প্রায়ই বিভিন্ন মাধ্যমে বাড়ি পুড়িয়ে আমাদের দেশছাড়া করার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। আমরা শঙ্কা আর আতঙ্ক নিয়ে কোনোমতে আজ এখানে তো কাল ওখানে ঘুরছি। চরম নিরাপত্তাহীনতায় পরিবারের নারী ও শিশুরা।

তিনি পুলিশের অনুপস্থিতে তাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় স্থানীয় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সব মহলের সহযোগীতা চেয়েছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন