সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে ২ বাংলাদেশী নাগরিক নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে সীমান্তবর্তী নাজিরেরগাঁও কাওয়ারটুক ১২৫৩ পিলারের ওপারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কালাইরাগ করবলাটুক গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে আলী হুসেন ও মৃত সুন্দর আলীর ছেলে কাউছার আহমদ। এ ঘটনায় একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে নবী হুসেন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, আলী হুসেন, কাউছার ও নবী হুসেন সীমান্তের ওপার থেকে প্রায়ই বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসেন। অন্যান্য দিনের মতো রোববার তারা ভারতে প্রবেশ করে। বিকাল ৩টায় ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে আলী হুসেন ও কাউছার আহমদ নিহত হন। আর গুরুতর আহত হয়ে ফিরেন নবী হুসেন। পরিবারের লোকজন তাকে গোপনে চিকিৎসা করাচ্ছেন, বলে জানা গেছে।
বিজিবির কালাইরাগ বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার ও মিডিয়া উইং বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২ জন বাংলাদেশী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের মরদেহ এখনো বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় ২ জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। বিজিবি কালাইরাগ বিওপির সঙ্গে কথা হয়েছে তারাও দু’জন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা লাকড়ি আনতে ভারতে প্রবেশ করে।
তবে বিএসএফ না খাসিয়ারা গুলি করেছে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিহতদের মরদেহ এখনো সীমান্তের ওপারে পড়ে আছে। মরদেহ উদ্ধারে বিজিবি-বিএসএফ’র আলোচনা চলছে বলে জানতে পেরেছি বলেও জানান ওসি।
উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে আলী হোসেন ও কাওসার নামে দু’জন মারা গেছেন। তাদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে নিহতের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন, শুনেছি।
উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য ফখরুল মিয়া বলেন, নিহতদের মরদেহ নাজিরেরগাঁও কারবালারটুক সীমান্ত এলাকায় পড়ে থাকতে দেখিছি। এ ঘটনা নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক করে মরদেহগুলো বিজিবির আওতায় রেখেছেন। নিহতদের বাড়িতেও তিনি নিজেও গিয়েছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
