• ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারে পল্লবেই আস্থা,বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন মুখ আনহার-সাব্বির

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত মে ৩০, ২০২৪
বিয়ানীবাজারে পল্লবেই আস্থা,বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন মুখ আনহার-সাব্বির

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সিলেট জেলার তিন উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের হিসাবে এই তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর একটিতে বর্তমান চেয়ারম্যান বহাল থেকেছেন। আর ‍দু’টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ বেছে নিয়েছেন ভোটাররা। মূলত; দলীয় নেতাদের ধরাশায়ী করে তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (২৯ মে) সিলেটের বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন উপজেলার মধ্যে বিয়ানীবাজারে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব পূণরায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর ফেঞ্চুগঞ্জে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশফাকুল ইসলাম সাব্বির ও বালাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনহার মিয়া বিজয়ী হয়েছেন। ভোট গ্রহণ শেষ গণনার পর বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ।

ফলাফলে জানা গেছে, বিয়ানীবাজারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম পল্লব (হেলিকপ্টার) ২০ হাজার ১৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. গৌছ উদ্দিন (শালিক পাখি) ১৮ হাজার ৫৬০ ভোট পেয়েছেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশফাকুল ইসলাম সাব্বির (আনারস) ১২ হাজার ১৯৭টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম (কাপ পিরিচ) ১১ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়েছেন। ওপর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত টুটুল (মোটরসাইকেল) ৬ হাজার ৪৩৪ ভোট, মো. জাহিরুল ইসলাম মুরাদ (ঘোড়া) এক হাজার ৮৭৪ ভোট এবং অ্যাডভোকেট সুলতানা রাজিয়া ডলি (দোয়াত-কলম) ২৪২ ভোট পেয়েছেন।

এই উপজেলায় মোট ৮৮ হাজার ৫৫১ ভোটারের মধ্যে ৩৬টি কেন্দ্রে মোট প্রদত্ত ভোট ৩৩ হাজার ৩৭৭টি। এরমধ্যে ৮৫৩ ভোট বাতিল হলে বৈধ ভোট দাঁড়ায় ৩২ হাজার ৫৩৪টি। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ভোট যুদ্ধে ছিলেন।

বালাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনহার মিয়া (আনারস) ২০ হাজার ৮৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তাকুর রহমান মফুর (কাপ পিরিচ) ১৮ হাজার ৬৮৬টি ভোট পেয়েছেন।

এ উপজেলায় ৩ পদে প্রার্থী সংখ্যা ছিলেন ১১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন