আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিলেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত দুই ছাত্রলীগ কর্মী ছুরিকাহত হয়েছেন। পুড়ানো হয়েছে ৩টি মোটরসাইকেল।
সোমবার (২০ মে) সন্ধ্যা রাতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। আহতদের দুইজন রাতে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরের সুবিদবাজার এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফুসকাটংয়ের সামনে থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সেখান থেকে ৩-৪টা সিএনজি অটোরিকশা যোগে ধাওয়া করে রাত ৮টায় আম্বরখানা হাউজিং এস্টেট ২নং সড়কে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২ জন আহত হন। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা।
এরপর মহানগরের দাড়িয়াপাড়ায় ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন ধরে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ গ্রুপ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলে আসছিল। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুবিদবাজারে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে হাউজিং এস্টেট ২নং রোডে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ গ্রুপের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ গ্রুপের কর্মী ইসফাক নূরের গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো গ-১৫-৮৯৮০) হামলা চালায়।
পরে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধে এবং সেটি জিন্দাবাজার এলাকার দাড়িয়াপাড়ায় পর্যন্ত চলে আসে। সেখানে ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষকালে দুইজন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন- খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে সংঘর্ষ চলাকালে ৩টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং দুজন আহত হয়েছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন