জৈন্তাপসংবাদদাতা:সিলেট তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার বাঘের সড়ক এলাকায় ভারতীয় চিনি বোঝাই একটি মিনি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দোকান ঘরে প্রবেশ করে৷ এই ঘটনায় দুই জন গুরুত্বর আহত হন।
তারা হলেন গোয়াইনঘাট উপজেলার ৫নম্বর পূর্ব আলিরগাঁও ইউনিয়নের নয়ামাঠি গ্রামের মৃত মাসুক উদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) এবং একই ইউনিয়নের লামাকুটা পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আলী আমজাদ (৩২)।
দূর্ঘটনার পরপর স্থানীয় জনতা দূর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন ৷ তারা বর্তমানে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধিন আছেন।
এমন ঘটনার পরপর এলাকাবাসী সিলেট তামাবিল মহাসড়ক প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় ৷ তারা সিলেট তামাবিল মহাসড়কে মানুষ চলাচলের নিরাপত্তা চায় ৷ জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট পুলিশকে চোরাচালান বন্দের দাবী জানান।
এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা কালা মিয়া, সাইফুল ইসলাম, হোসাইন আহমদ মনসুর মিয়া বলেন- সিলেট তামাবিল মহাসড়ক নিয়ন্ত্রন করছেন চোরাকারবারী ও জৈন্তাপুর থানার ওসি ৷ এই রাস্তা ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত দিন কিংবা রাতে অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা চোরাচালান পণ্য ভারতীয় মদ, মাদকজাত পণ্য, ভারতীয় চিনি, পেয়াজ, চা-পাতা, আমদানী নিষিদ্ধ নাছির বিড়ি, মটর সাইকেল, গরু-মহিষ, শাড়ী, ভারতীয় ঔষধ সামগ্রী দ্রুত গতিতে নিয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারীরা৷ এসব পণ্য পরিবহনে নিয়ে যাওয়ার প্রক্কালে রাস্তায় বেড়েছে দূর্ঘটনা৷
আর এসব পণ্য হতে জেলা পুলিশের ও জৈন্তাপুর থানা পুলিশের নামে বহুল আলোচিত লাইনম্যান শফিকুল ইসলাম শহিদ ওরফে ল্যান্টিন শহিদ নিয়ন্ত্রন করে৷ যার কারনে বিগত নভেম্বর মাস হতে অধ্যাবদি পর্যন্ত এই রোড দিয়ে কোটি কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য পাচার করা হয় ৷ এসব পণ্য পরিবহনে দূর্ঘটনা ঘটলে চোরাকারবারীরা কিংবা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
অপরদিকে এসব পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কেউ কোন ছবি ভিডিও ধারন করলে তাদেরকে মারপিট, হুমকী, ধমকী দেওয়া হয় ৷ এমনকি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে৷ এসব ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করতে গেলে ওসি অভিযোগ রাখলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না ৷ উল্ঠা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে চোরাকারবারী দিয়ৈ চাঁদাবাজীর অভিযোগ গ্রহন করেন ৷ যার কারনে বিগত তিনমাসে জৈন্তাপুর হয়ে উঠোছে চোরাচালানের অভয়ারণ্য।
পরবর্তীতে শালিসি ব্যক্তিদের সহায়তায় সিলেট তামাবিল মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেওয়া হয় এবং চোরাচালান বন্ধের দাবী জানান।
এঘটনায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের কাজে জানতে চাইলে একাধিক বার ফোন করা হলে কেউ ফোন উক্তোলন করেনি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন